Tuesday, May 14সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় শ্রেষ্ঠ হলেন যারা

হাসানুজ্জামান সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি: ঢাকা মহানগরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পর্যায়ের পুলিশ সদস্যকে পুরস্কৃত করলেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম।
গতকাল শনিবার সকালে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে মে মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার।
মে মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ৮টি ক্রাইম বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে মিরপুর বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে পল্লবী থানা। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো: আজিজুল হক পিপিএম। পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত)-দের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আঃ হালিম। পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস)-দের মধ্যে প্রথম হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) মোঃ জাকির হোসেন।
শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন লালবাগ বিভাগের চকবাজার মডেল থানার এসআই মোঃ ওয়াসিম বিল্লাহ ও মিরপুর বিভাগের পল্লবী থানার এসআই মোঃ সাইফুল ইসলাম। এএসআইদের মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এএসআই আলী আকবর ও পল্লবী থানার এএসআই ফেরদৌস রহমান। শ্রেষ্ঠ ওয়ারেন্ট তামিলকারী অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পল্লবী থানার এসআই মোঃ সাইফুল ইসলাম। বিস্ফোরকদ্রব্য উদ্ধার করে প্রথম হয়েছেন চকবাজার মডেল থানার এসআই মোঃ ওয়াসিম বিল্লাহ। মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন পল্টন মডেল থানার এসআই সুজন কুমার তালুকদার। চোরাই গাড়ি উদ্ধার করে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন ধানমন্ডি মডেল থানার এসআই মোঃ আজমাইন হোসেন।
৯টি গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-গুলশান বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ, গাড়ি চুরি উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার জ্যোতির্ময় সাহা। তিনি মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও চোরাই গাড়ি উদ্ধারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন। অজ্ঞান/মলম পার্টির সদস্যদের গ্রেফতারে শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন গোয়েন্দা-তেজগাঁও বিভাগের মোহাম্মদপুর জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোঃ আনিচ উদ্দিন।
৮টি ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগ। ট্রাফিকের শ্রেষ্ঠ সহকারী পুলিশ কমিশনার হয়েছেন ট্রাফিক-ওয়ারী বিভাগের ওয়ারী-ট্রাফিক জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার নীপা বিশ্বাস। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক ইন্সপেক্টর হয়েছেন ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের যাত্রাবাড়ী-ট্রাফিক জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহবুব শাহ। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন ট্রাফিক-তেজগাঁও বিভাগের তেজগাঁও -ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মোঃ উজ্জল হোসেন ও ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগের মিরপুর-ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মোঃ সামসুদ্দীন সরকার।
এছাড়াও ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পিআর বিভাগসহ একাধিক বিভাগ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্সকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
প্রতি মাসে অপরাধ বিশ্লেষণ, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পরবর্তী কর্মপন্থা ও কর্মকৌশল সম্পর্কিত নির্দেশনার পাশাপাশি মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্য ও কর্মকর্তাদের কর্মোদ্দীপনা বাড়াতে প্রতি মাসের কার্যক্রম পয়েন্ট আকারে যোগ করে পরবর্তী মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় পুরস্কৃত করে থাকেন ডিএমপি কমিশনার।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) (ডিআইজি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) বিপ্লব বিজয় তালুকদারেরর সঞ্চালনায় মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স এন্ড প্রকিউরমেন্ট) মহাঃ আশরাফুজ্জামান বিপিএম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান; যুগ্ম পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার বাটন