Saturday, May 18সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

প্রতীমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো নবাবগঞ্জে দূর্গোৎসব

মোঃ জুলহাজুল কবীর, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: হিন্দু শাস্ত্রমতে, আজ মর্ত্য থেকে কৈলাসে স্বামীগৃহে ফিরে যান দেবীদুর্গা। পঞ্জিকামতে, মঙ্গলবার (২৪অক্টোবর) বেলা ১১টা ৪০ পর্যন্ত দশমী তিথি স্থায়ী হয়। এ সময়ের মধ্যে দশমী পূজা সম্পন্ন করেন পুরোহিতরা। উপবাস থেকে অঞ্জলি প্রদান করেন ভক্তরা।

দশমী উৎসবের অংশ হিসেবে থাকে সিঁদুর খেলা। সনাতন ধর্মের নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পড়িয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন। বিজয়া দশমীতে উৎসবের পাশাপাশি দেবীর বিদায়ে বিষন্নতাও কাজ করে ভক্তদের মনে।

ঢাকের শব্দেও বাজে বিষাদের সুর। এবার দেবী দুর্গা গজ বা হাতিতে চড়ে মর্ত্যে আসেন। কৈলাসে ফিরেন নৌকায়। এর ফলে পৃথিবী শস্যে পূর্ণ হয়ে উঠবে-এমনটাই বিশ্বাস সনাতন ধর্মের মানুষের।

গত ৪দিন উপজেলার পূজামণ্ডপগুলোতে পূজা-অর্চণার মধ্যদিয়ে ভক্তরা দেবী দুর্গার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন।

নবাবগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্র থেকে জানা যায়, নবাবগঞ্জ উপজেলায় ৭৪টি মণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব উদযাপন হয়েছে নির্বিঘ্নে। মঙ্গলবার সকালে দর্পণ-বিসর্জনের মাধ্যমে বিদায় জানানো হয় দেবী দুর্গাকে। পরে বিকাল ৪টা থেকে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জনের প্রস্তুতি। এর মধ্য দিয়ে শেষ হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব।

বিকেল ৩টায় উপজেলার বিভিন্ন ঘাটে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে দেবীকে শেষ বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

ঢাকের বাদ্য আর গান-বাজনা ছাড়া বিদায়ের করুণ ছায়ায় সারিবদ্ধভাবে একে একে বিসর্জন দেয়া হয় প্রতিমা।
এসময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সজাগ টহল জোরদার ছিল।
অন্যদিকে গতকাল সোমবার প্রতিটি মণ্ডপ ও মন্দিরে ঢাক-ঢোল, কাঁসর-ঘণ্টায়, ধূপ আরতি ও দেবী-দুর্গার পূজা-অর্চনায় কেবলই ছিল মায়ের বিদায়ের সুর। গতকাল দিনব্যাপী বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সারাবিশ্বের কল্যাণ এবং বিশ্ব শান্তি কামনা করে প্রার্থনা করা হয়।

শেয়ার বাটন