Saturday, May 18সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন করলেন ডিএমপি কমিশনার

হাসানুজ্জামান সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি: এমআরটি (মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট) পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম-বার, পিপিএম-বার।
গতকাল শনিবার সকালে ডিএমপি কমিশনার আগরগাঁও মেট্রো রেল স্টেশন থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশনে আসেন এবং এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান বিপিএম (বার); এমআরটি পুলিশের ডিআইজি জিহাদুল কবির বিপিএম, পিপিএম-সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এমআরটি (মাস র‌্যাপিড ট্রানজিট) পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে উত্তরা উত্তর স্টেশনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে ডিএমপি কমিশনার বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সরকারের একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ হলো মেট্রোরেল। এটি ঢাকা তথা সারা দেশের মানুষের কাছে নন্দিত হয়েছে। যাতায়াত এবং অর্থনৈতিক উন্নতির ক্ষেত্রে এই মেট্রোরেল যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় একজন ডিআইজির নেতৃত্বে ৫৩৭ জন পুলিশ সদস্য নিয়ে এমআরটি পুলিশ গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা বিভিন্ন স্টেশনে দক্ষতার সাথে কাজ শুরু করেছেন। প্রত্যেকটা স্টেশনে একজন পুলিশ পরিদর্শকের নেতৃত্বে ৯ জন পুলিশ সদস্য তিন পালায় দায়িত্ব পালন করবেন। প্রত্যেকটা স্টেশনে যে কন্ট্রোল রুম রয়েছে সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ এবং অন্যান্য ইউনিট যার যেখানে প্রয়োজন সেখানে ভূমিকা রাখবে। রেলওয়ে পুলিশের নিজস্ব থানা থাকলেও মেট্রোরেলে না থাকায় ডিএমপির সংশ্লিষ্ট থানা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে কাজ করবে,
সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। যে কোনো শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল, মিটিং, সমাবেশ করার অধিকার সবার রয়েছে, সেখানে পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে থাকে। কিন্তু যদি কেউ এর আড়ালে কোন সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বা চেষ্টা করে এবং ঢাকার ২ কোটি ২৪ লক্ষ সম্মানিত নাগরিকের জানমালের শঙ্কা দেখা দেয়, এমন যে কোন পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করা হবে।

গুজব সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, একটি স্বার্থন্বেষী মহল দীর্ঘদিন ধরে এদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা করে আসছে। বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত সচেতন। সম্মানিত দেশবাসী গুজবে কান না দিয়ে তা প্রতিহত করার জন্য সচেষ্ট থাকবে এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া গুজেবের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ভূমিকা রাখবে বলে প্রত্যাশা করেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, পুলিশসহ অন্যান্য যে গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে সবাই গুজবের বিষয়ে কাজ করছে। এগুলোর যে কোনো তথ্য পেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ২০১৩-১৪ সালে এ ধরনের অপচেষ্টা করা হয়েছিল। এটি কেবল ঢাকা নয়, দেশ জুড়েই করা হয়েছিল। সেটা কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এবং পুলিশ শক্ত হাতে প্রতিহত করেছে এবং তারা পরাজিত হয়েছে। এ ধরনের যেকোন অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জনগণ এবং পুলিশ একসাথে প্রতিহত করতে সক্ষম হবে।

শেয়ার বাটন