Tuesday, May 14সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

স্বাধীনতার মাসে মিডিয়া ও ইয়ুথ ডেলিগেশনের নামে পাকিস্তানের অপতৎপরতা!

তরিকুল ইসলাম লাভলু, নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারকে বিব্রত করতে নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে ঢাকায় পাকিস্তান হাই কমিশন। এবার স্বাধীনতার মাস মার্চে ‘মিডিয়া ডেলিগেশন’ এবং ইয়ুথ ডেলিগেশন ইসলামাবাদ পাঠাবার পায়তারা করছে ঢাকায় পাকিস্তান মিশন। ইতিমধ্যে অনেক মিডিয়া হাউস-এ যোগাযোগ শুরু করেছে; কেউ কেউ পাকিস্তান হাই কমিশন এর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে। অনেকে স্বাধীনতার মাসে এর উদ্দেশ্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে?

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ৩০ লক্ষ বাঙালিকে হত্যা করেছে। ২,০০,০০০ থেকে ৪,০০,০০০ বাঙালি নারীকে পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ করে, তারপরও থেমে থাকে নি। কিন্তু ইসলামাবাদ কখনো পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর নৃশংসতার জন্য নিঃশর্ত ক্ষমা চায় নি।

বাংলাদেশ সরকার যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করছিলো, তখন পাকিস্তান বিবৃতি দিয়ে তার বিরোধিতা করেছিল; যা আসলে অন্য দেশের অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ।

এছাড়াও পাকিস্তান বিভিন্ন সময় মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সরকারকে বিব্রত করে আসছিলো। বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জঙ্গি নেটওয়ার্ক ও জাল মুদ্রার ব্যবসাতে নেপথ্যে থেকে পৃষ্ঠপোষকতা করার অভিযোগ রয়েছে পাকিস্তান হাই কমিশন-এর বিরুদ্ধে। সেজন্য বাংলাদেশ সরকারের চাপে ২০১৫ সালে পাকিস্তান দূতাবাসের এক কূটনীতিককেও তুলে নিতে বাধ্য হয়েছিল পাকিস্তান সরকার।

এদিকে স্বাধীনতার মাসে মিডিয়া ডেলিগেশন নেবার পাকিস্তানী পরিকল্পনায় সরকারের অনেক মহলে আলোচনা হচ্ছে। কেউ কেউ স্বাধীনতার মাসে এ ধরনের তৎপরতাকে সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য এবং মুক্তিযুদ্ধের মূলনীতির পরিপন্থী বলে অভিহিত করেছেন।

উল্লেখ্য, গতবছর নভেম্বরে পাকিস্তান ক্রিকেটদল ঢাকায় খেলতে এসে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়াই মিরপুর স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের পতাকা উড়িয়ে অনুশীলন করেছিল। আইসিসির নিয়মানুসারে কোনো ইভেন্ট কিংবা দ্বিপাক্ষিক সিরিজ চলাকালীন দুই দেশের পতাকা উড়তেই পারে। তবে পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের অনুশীলনেই সেটা কেন উড়াতে হবে, তা নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়! প্রতিবাদের মুখে একপর্যায়ে পতাকাগুলা সরিয়ে ফেলা হয়।

শেয়ার বাটন