Tuesday, May 7সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

মাগুরায় পুলিশের গাড়ি বিএনপি হামলায় ৬ পুলিশ আহত

মোহাম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি: গতকাল ১সেপ্টেম্বর-২৩ মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলার বিএনপির ৪৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসূচি নিয়েছিল দলটি। কর্মসূচি উপলক্ষে বিএনপির আহবায়ক অধ্যক্ষ মৈমুর আলী মৃধা,সদস্য সচিব আখতারুজ্জামান(আক্তার) স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আরিফুজ্জামান(মিল্টন) ও তার ছোট ভাই ইউসুফ মোল্লার নেতৃত্বে আমিনুর রহমান কলেজ থেকে একটি মিছিল বের করেন। শহরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয় এবং শহরের প্রবেশ করলে জনগণের জান মাল ও নিরাপত্তা বিগ্ন হতে পারে সুতরাং সমাবেশ শহরের বাহিরে করেন বলে পুলিশ অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা না শুনে বিএনপি নেতা কর্মীদের মধ্যে ও পুলিশের সাথে শুরু হয় বাগবিতর্ক ও পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। বিক্ষিপ্ত কিছু নেতা কর্মীরা দেশীয় অস্ত্র ইটপাটকেল নিয়ে পুলিশের উপর আক্রমণ করে এতে পুলিশের ছয় সদস্য আহত হয়:- ১. পুলিশের পরিদর্শক(তদন্ত)মুন্সি রাসেল ২.এসআই তারেক ৩.এএসআই আজিবর রহমান ৪. এএসআই ফারুক ৫.কনস্টেবল হাফিজুর রহমান ও ৬.সুজায়েদ সহ বেশ কয়েকজন আহত হয়। পুলিশের একটি পিকআপ ভ্যান ও তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে অন্যদিকে বিএনপির বেশ কিছু নেতা কর্মীও আহত হয়। ঘটনা স্থল থেকে ককটেলের বিস্ফোরিত কিছু অংশ পাওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে বিএনপি নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম খান বাচ্চু বলেন,আমরা শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল বের করি,কিন্তু পুলিশের বাধা অতিক্রম করতে পারিনি পরে আমরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। কিন্তু দলের ভিতরে কিছু উশৃংখল ছেলেপেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। আমরা সিনিয়র নেতৃবৃন্দ অনেক চেষ্টা করেও তাদেরকে ফেরাতে পারিনি। আমরা অত্যন্ত দুঃখিত পুলিশের উপর হামলার জন্য প্রকাশ করছি। পুলিশের উপর হামলাকরীদের নেতা কর্মীদের চিহ্নিত করে সুনির্দিষ্ট অপরাধকারীকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নিতে আমি অনুরোধ করব।
এবিষ বিষয়ে মাগুরা-১ সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর গভীর দুঃখ সমবেদনা প্রকাশ করে ও হামলাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসা জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনে নির্দেশনা প্রদান করেন।
মাগুরা২ সংসদ সদস্য ড.বীরেন শিকদার এ ঘটনা শুনে দ্রুত মোহাম্মদপুর চলে আসেন এবং হাসপাতালে পুলিশ সদস্যদের দেখতে যান ও সকলের খোঁজখবর নেন। তিনি বলেন শান্ত প্রিয় মোহাম্মদপুর কে রাজনৈতিক উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি করতে পুলিশের উপরে হামলা কিছুতেই মেনে নেয়া যাবে না। হামলার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় নিতে পুলিশ সুপার এবং ওসিকে নির্দেশ দেন।
আহত পুলিশদের দেখতে মাগুরা জেলা পুলিশের সুপার পুলিশ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছুটে আসেন হসপিটালে এবং এ হামলার তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করে এবং আইনের উর্ধ্বে কেউ না বলে তারা মন্তব্য করেন।
স্থানীয় সূত্রে ঘটনাস্থলে যেসব সাধারন মানুষ উপস্থিত ছিলেন তাদের প্রাপ্ত বর্ণনা ও ভিডিও ক্লিপ অনুযায়ে ,এ হামলায় যারা প্রত্যক্ষভাবে নেতৃত্ব দেয়- মিল্টন মোল্লা তার ছোট ইউছুব মোল্লাসহ কিশোর গ্যাং এর কিছু সহযোগী সদস্যরা,আফতাব মোল্লা, মতিয়ার শেখ,বাদশা শেখ,জুয়েল মোল্লা, ইব্রাহিম মোল্লা,আলামিন মুনশি,তারিকুল ঘটক,আজিবার ঘটক, জুবায়ের ঘটক,ওহিদ ঘটক,আব্দুল্লাহ ঘটক,কাবুল ঘটক,তাছির ঘটক,জবু মোল্লা,চুন্নু শেখ, সহ ৪০-৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী দল এই আক্রমণ চালায়। স্থানীয়রা বলেন মোহাম্মদপুরে এরকম ঘটনা আমরা আগে কখনো দেখিনি,এই প্রথম পুলিশের উপর হামলা গাড়ি ভাঙচুর করেন বলে জানান ।
স্থানীয়ভাবে আরো জানায় মিল্টনের নেতৃত্বে শ্যামনগর গ্রামে কিশোর গ্যাং তৈরি করেছে এবং প্রতিনিয়ত তারা বিভিন্ন মানুষের উপর হামলা নির্যাতন জমি দখল সহ ইয়াবা কারবারিদের সাথেও তারা জড়িত নাম না উল্লেখ করা শর্তে এলাকাবাসী এসব তথ্য জানান।
মোহাম্মদপুর থানার মোহাম্মদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ বোরহান উল ইসলাম জানান,মামলার প্রস্তুতি চলছে এখনো সম্পূর্ণ হয়নি এর রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনা সঙ্গে জড়িত দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শেয়ার বাটন