Monday, May 6সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

নবাবগঞ্জে ৬১ অবৈধ করাতকল

মোঃ জুলহাজুল কবীর নবাবগঞ্জ, দিনাজপুর: করাতকল স্থাপনে লাইসেন্স নিতে হয় বন বিভাগ থেকে। লাগে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র। মানতে হয় আরও নির্দিষ্ট কিছু বিধিমালা। দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে এসবের কোনো তোয়াক্কা নেই। নিয়ম-নীতি না মেনে যত্রতত্র গড়ে উঠছে অবৈধ করাতকল। সংরক্ষিত বনাঞ্চলের আশপাশের এলাকা ঘিরে গড়ে ওঠা এসব করাতকলে প্রতিনিয়ত চেরাই করা হচ্ছে কাঠ। এতে উজাড় হচ্ছে বনাঞ্চল। ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে পরিবেশের।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসন ও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের ‘মাসোহারা’ দিয়ে এসব করাতকল চালানো হচ্ছে। তবে যত্রতত্র অবৈধ করাতকল স্থাপনের বিষয়টি স্বীকার করলেও মাসোহারা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা। এছাড়া খুব শিঘ্রই অভিযান পরিচালনা করে অবৈধ করাতকল ইচ্ছেদ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা। আশ্বাসের কয়েক মাস অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না দায়িত্বে নিয়জিত বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
করাতকল বিধিমালা-২০১২ তে বলা আছে, কোনো সরকারি অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, বিনোদন পার্ক, উদ্যান ও জনস্বাস্থ্য বা পরিবেশের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করে এমন স্থান থেকে কমপক্ষে ২০০ মিটার এবং সরকারি বনভূমির সীমানা থেকে কমপক্ষে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে করাতকল স্থাপন করা যাবে না। এই নির্দেশনা মানা হচ্ছে না কোথাও।

সরেজমিনে নবাবগঞ্জ উপজেলার উপজেলা সদর, দাউদপুর ইউনিয়নের যত্রতত্র, ভাদুরিয়া ইউনিয়ন এলাকায় ঘুরে যত্রতত্র অবৈধ করাতকল স্থাপন করে অবৈধভাবে কাঠ চেরাই করতে দেখা গেছে । এগুলোর মধ্যে কোনোটিরই লাইসেন্স বা ছাড়পত্র নেই।

শেয়ার বাটন