Tuesday, May 7সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৩২ লাখ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশে চতুর্থবারের মতো আজ বুধবার (২ মার্চ) পালিত হচ্ছে জাতীয় ভোটার দিবস। এবারের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, রক্ষা করব ভোটাধিকার’।

দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়। ভোটার দিবসটি পালনের মধ্য দিয়ে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন কমিশনের হাতে প্রথম আনুষ্ঠানিক কর্মসূচি পালিত হতে যাচ্ছে। ভোটার দিবসে তিন কর্মকর্তাকে জাতীয় নির্বাচনি পদক প্রদান করা হবে।

এদিকে ভোটার দিবস পালনের পাশাপাশি বুধবার হালনাগাদ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ হতে যাচ্ছে। হালনাগাদ শেষে দেশে ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৫১ জন। এর মধ্যে নতুন করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭১ হাজার ১০০ জন ভোটার। ২০২১ সালের ২ মার্চ দেশের ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ কোটি ১৭ লাখ ২০ হাজার ৬৬৯ জন। আর চলতি বছরের ১ মার্চ পর্যন্ত ইসির সার্ভারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন ১৫ লাখ ৭১ হাজার ১০০ জন। সেই হিসাবে বর্তমানে ইসির সার্ভারে ১১ কোটি ৩২ লাখ ৯১ হাজার ৭৬৯ জন নাগরিকের তথ্য রয়েছে। তবে এদের মধ্যে আঙুলের ছাপ দিয়ে ভোটার নিবন্ধন সম্পন্ন করেননি ৩৩ হাজার ৪১৮ জন। অর্থাৎ দেশের মোট ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৩২ লাখ ৫৮ হাজার ৩৫১ জন।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসির সার্ভারে সংরক্ষিত তথ্যের মধ্যে নারীর সংখ্যা ৫ কোটি ৫৫ লাখ ৯৮ হাজার ২৯৬ জন। আর পুরুষ ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৯৩ হাজার ৪৭৬ জন। এদের মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) রয়েছেন ৪৫৪ জন। সবচেয়ে বেশি তথ্য রয়েছে ঢাকা অঞ্চলের। এ অঞ্চলের মোট ১ কোটি ৬৮ লাখ ৯১ হাজার ৫৫৭ জনের তথ্য রয়েছে ইসির কাছে। সবচেয়ে কম রয়েছে ফরিদপুর অঞ্চলে, ৫৩ লাখ ৯১ হাজার ২০৯ জনের।

ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ২ মার্চ হালনাগাদ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অবশ্য তালিকা প্রকাশ হলেও এবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করা হয়নি। সদ্য বিদায়ি কে এম নুরুল হুদা কমিশনের সময়ে ২০১৯ সালের পরে তথ্য সংগ্রহ করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়নি। যেসব আগ্রহী নাগরিক নিজের উদ্যোগে অনলাইনে কিংবা ইসির মাঠ প্রশাসন কার্যালয়ে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন করেছে সেগুলোই এই হালনাগাদে স্থান পাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘গণতন্ত্র, নির্বাচন ও ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে’ প্রতিবছরের ১ মার্চকে জাতীয় ভোটার দিবস হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সরকার। এক বছর ভোটার দিবস পালনের পরে এই তারিখ পরিবর্তন করে ২ মার্চ করা হয়। জাতীয় ভোটার দিবস ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত একটি দিবস। প্রমোশন ক্যাম্পেইন সংক্রান্ত দিবসগুলো ‘খ’ শ্রেণিতে থাকে।

শেয়ার বাটন