Saturday, May 18সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

দেবহাটায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাথা দেবহাটা মুক্ত দিবসে র‌্যালী ও আলোচনা সভা

রফিকুল ইসলাম, দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি : ঐতিহাসিক ৬ ডিসেম্বর, দেবহাটা মুক্ত দিবস। মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিগাঁথা এই দিনে দেবহাটা উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত হয়েছিলো, উড়েছিলো বিজয়ের পতাকা। পাক হানাদার মুক্ত হয়ে সমগ্র এলাকার মানুষের মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠেছিলো। এই দিনে দেবহাটার মানুষ খুজে পেয়েছিল দীর্ঘদিনের যুদ্ধ বিজয়ের আনন্দ। মুক্তিযুদ্ধের সেই ঐতিহাসিক দিনগুলোর বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, সমগ্র দেবহাটা ছিল ৯ নং সেক্টরের অর্ন্তভুক্ত। এই ৯ নং সেক্টরের আওতায় ৩ টি সাব-সেক্টর গঠন করা হয়। তার মধ্যে প্রথম সেক্টরটি ছিল শমসের নগর। যার নেতৃত্বে ছিলেন ক্যাপ্টেন নুরুল হুদা। দ্বিতীয়টি হেঙ্গলগজ্ঞ ও তৃতীয়টি ছিল টাকী। যার নেতৃত্বে ছিলেন মরহুম ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাষ্টার। বাংলাদেশের ১১ টি সেক্টরের মধ্যে ৯ নং সেক্টরটি ছিল সর্ববৃহৎ। ক্যাপ্টেন শাহজাহান মাষ্টারের উদ্যোগেই ভারতের টাকীতে গড়ে তোলা হয় ৯ নং সেক্টর। সেজন্য তাকে ৯ নং সেক্টরের প্রতিষ্টাতা ও সাব সেক্টর কমান্ডারের খেতাব দেয়া হয়। সমগ্র দেবহাটা থানা ৯ নং সেক্টরের অধীনে ছিল। সেক্টর কমান্ডার ছিলেন মেজর জলিল। শাহজাহান মাষ্টারের নেতৃত্বেই এই অঞ্চলের যুবকেরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে। তার নেতৃত্বে পারুলিয়া, টাউনশ্রীপুর, ভাতশালা, সখিপুর ও কুলিয়া সহ বিভিন্ন এলাকায় যুদ্ধে পাক সেনারা পরাস্থ হয়। তারা চলে যাওয়ার সময় বহু মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেয় এবং পারুলিয়া ব্রীজ ধ্বংস করে দেয়। এভাবে দেবহাটা উপজেলা পাক হানাদার মুক্ত হয় ও ওঠে বিজয়ের পতাকা। সেই দিনটিকে স্মরন করে দেবহাটা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বুধবার ৬ ডিসেম্বর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে এক র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালী পরবর্তী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চলতি দায়িত্বে থাকা কমান্ডার মো: আসাদুজ্জামান। প্রধান অতিথি ছিলেন দেবহাটা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ মুজিবর রহমান। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হামিদের উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যথাক্রমে দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, বীর মুক্তিযোদ্ধা জামশেদ আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মাবুদ গাজী ও উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জি.এম স্পর্শ। এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক আনোয়ারুল হক, বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবুর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা
কাজী ইদ্রিস, বীর মুক্তিযোদ্ধা নফর বিশ্বাস , বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ প্রমুখ।

শেয়ার বাটন