Tuesday, May 7সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

ডেসটিনির এমডিসহ ৪৬ জনের মামলার রায় ১২ মে

নিজস্ব প্রতিনিধি: অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে করা মামলায় ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীনসহ ৪৬ জনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য ১২মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।

যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রোববার (২৭ মার্চ) রায়ের জন্য তারিখ ধার্য করেন।

দুর্নীতি দমক কমিশনের (দুদক) পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মীর আহমেদ আলী সালাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা আত্মসাৎ ও অর্থ পাচারের অভিযোগের মামলায় যুক্তিতর্ক শুনানি আজ শেষ হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটিতে মোট ২০২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। আসামিদের মধ্যে ডেসটিনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীন সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণার জন্য ১২ মে তারিখ ধার্য করেছেন।

একই আদালতে ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগের আরেকটি মামলা বিচারাধীন আছে।

দুদকের উপপরিচালক মো. মোজাহার আলী সরদার ও সহকারী পরিচালক মো. তৌফিকুল ইসলাম ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় মামলা দুটি করেছিলেন।

ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর কলাবাগান থানায় মামলা দুটি করা হয়। দুই মামলায় মোট ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

তদন্ত শেষে ২০১৪ সালের ৫ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এর মধ্যে ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জন এবং ডেসটিনি ট্রি প্লানটেশন লিমিটেডে দুর্নীতির মামলার ১৯ জনকে আসামি করা হয়। রফিকুলসহ ১২ জনের নাম দুটি মামলাতেই রয়েছে। দুই মামলায় মোট আসামির সংখ্যা ৫৩।

আসামিদের মধ্যে কারাগারে আছেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন ও এমডি রফিকুল আমীন।

মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির নামে ডেসটিনি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার ৯০১ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছিল। সেখান থেকে ১ হাজার ৮৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে দুদকের অনুসন্ধানে উঠে আসে। এই অর্থ আত্মসাতের কারণে সাড়ে আট লাখ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হন।

শেয়ার বাটন