Thursday, May 9সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

কালিগঞ্জে পা,উ,বোর সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ

হাফিজুর রহমান কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) থেকেঃ উপজেলা পরিষদ চত্বরে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নাকের ডগায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জায়গায় লুৎফর রহমান নামে ১ বিএনপি নেতার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে এসে জনরোসে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা কার্যক্রম বন্ধ করে দে-ছুট। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সোমবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১০ টার সময় সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে প্রধান ফটকের পূর্ব পাশের রাস্তার পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায়। উপজেলার ছনকা গ্রামের মৃত শেখ আব্দুর রহিমের পুত্র বিএনপি নেতা শেখ লুৎফর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিস সংলগ্ন পূর্ব পাশে রাস্তার পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় অবৈধ ভাবে দখল করে দোকানদার নির্মাণ চেষ্টা চালিয়ে আসছে। গত সোমবার সকালে পুনরায় নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাওয়ার সময় তার প্রতিপক্ষরা পানি উন্নয়ন বোর্ডে খবর দেয়। খবর পেয়ে সোমবার সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাতক্ষীরার সহকারী প্রকৌশলী শুভেন্দু বিশ্বাস, উপসহকারী প্রকৌশলী তনময় কহালদার ঘটনাস্থলে আসে। এসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর দাসের নির্দেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে। খবর পেয়ে পাশের অন্যান্য অবৈধ দখলে থাকা স্থাপনা মালিকরা একত্রিত, ও উত্তেজিত হয়ে উচ্ছেদ কার্যক্রমে বাধা দেয়। তারা দাবি করতে থাকে একে একে যত অবৈধ স্থাপনা আছে সেগুলো আগে উচ্ছেদ করে তারপর এই কার্যক্রমে হাত দিতে হবে তা না হলে উচ্ছেদ কার্যক্রম করতে দেওয়া হবে না বলে প্রতিবাদ করতে থাকে। পরে ঘন্টা খানেক অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম চালিয়ে জনরোসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে অবৈধ উচ্ছেদ কার্যক্রম বন্ধ করে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্ম কর্তারা দ্রুত দে ছুট দিয়ে স্থান ত্যাগ করে চলে যায়।২০০৭ সাল হতে কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরের পূর্ব পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় অবৈধ দখল বাজরা দখলে নিয়ে পাকা ঘর, এমারত, বাসা বাড়ি, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করে বছরে লক্ষ লক্ষ টাকা ভাড়া আদায় করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসলেও দেখার কেউ নাই। আর এই সমস্ত অবৈধ দখলদার দের নিকট হতে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তারা বছরের পর বছর মোটা অংকের টাকা ঘুষ নিয়ে এই দখল ও অবৈধ কার্যক্রমো প্রত্যক্ষ ভাবে সহযোগিতা করে আসছে। আর এই দখল কার্যক্রমে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ড্রাইভার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সাবেক ও এস শফিকুল ইসলাম, প্রসেস সার্ভেয়ার আব্দুল মান্নান, উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ফিফা রেফারি প্রধান শিক্ষক শেখ ইকবাল আলম বাবলু, সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ, ঠিকাদার সাদিকুর রহমান ও অবৈধ দখলদার মামুন, উন্নয়ন বোর্ডের গেট খালাসী অনিল সহ আরো একাধিক ব্যক্তি এই সরকারি পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে পাকা বাসা বাড়ি, দোকান ঘর, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তৈরি করে বসবাস ও ভাড়া আদায় করে আসছে প্রায় দু, যুগ ধরে। দেখলে মনে হয় মিলেমিশে করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ। আর এইভাবে বছরের পর বছর মোটা অংকের টাকা নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা উপজেলা জুড়ে থানার সামনে, যমুনা পাড়ে এবং নাজিমগঞ্জ বাজার এলাকা ছাড়াও ওয়াবদার ভেড়ি বাঁধের পাশে অবৈধ স্থাপনা ও পাকা বহুতল ভবন নির্মাণ কার্যক্রম করে আসছে। ২০০১ সালে বিএনপি জামায়াত ঐক্য জোট ক্ষমতায় আসলে তৎকালীন এমপি আলহাজ্ব কাজী আলাউদ্দিনের সহায়তায় ৩০ টন কাবিখার চাউলের বিনিময়ে ৪ টি অফিসের নামে উপজেলানির্বাহী কর্মকর্তার অফিসের সামনে মূল ফটকের পূর্ব পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় এই বিএনপি নেতা শেখ লুৎফর রহমানের নামে ৪ টি প্রকল্প দিয়ে সাইনবোর্ড টানিয়ে কার্যক্রম শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন পত্র পত্রিকায় খবর ছাপা হলে অবৈধ নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ২০০০ সালে এই অবৈধ দখল ঠেকাতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাসিক উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় উপজেলাকে সৌন্দর্য বর্ধন রাখতে উপজেলার পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গায় কোন অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না এই মর্মে সভায় রেজুলেশন হয়। কিন্তু তারপরও সেই নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রায় ২ যুগধরে এই অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের কাজ চালিয়ে আসলেও উপজেলা পরিষদের নাকের ডগায় দেখার কেউ নাই। উপজেলা পরিষদের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সরকারি জায়গা হতে এই অবৈধ স্থাপনা অপসারণের দাবি জানিয়েছে উপজেলা বাসি।

শেয়ার বাটন