Wednesday, May 8সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

আল কায়েদা মতাদর্শে অনুপ্রাণিত ৬ হিজরতকারী গ্রেফতার

হাসানুজ্জামান সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি: অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি),ডিএমপি মিডিয়া সেন্টার এ বলেন, কাউন্টার টেররিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম বিভাগ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আল কায়েদা মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হিজরতকারী ০৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গত ০১/০১/২০২৩খ্রিঃ তারিখে তাদের রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিন্যাল, চট্রগ্রাম ও টেকনাফ হতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের নাম- ১। আব্দুর রব (২৮), ২। মোঃ সাকিব (২৩), ৩। মোঃ শামীম হোসেন (১৮), ৪। মোঃ নাদিম শেখ (১৯), ৫। মোঃ আবছার (২০) এবং ৬। মোঃ সাইদ উদ্দিন (১৮)।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারকৃত আব্দুর রব একজন কোরআনে হাফেজ এবং কওমী মাদ্রাসায় পড়াশুনা করে গত জুন/২০১৯ সালে সৌদি-আরব চলে যায়। সৌদিতে অবস্থানকালে সে অনলাইনে বিভিন্ন জিহাদি পোস্ট ও ভিডিও দেখে জিহাদের জন্য অনুপ্রাণিত হয়। অনলাইনে রোহিঙ্গা নির্যাতনের একটি ভিডিও কমেন্টের সূত্রধরে সাঈদের সাথে তার পরিচয় হয়। একইভাবে শামীম, সাকিব, নাদিমসহ ও আরও কয়েকজনের সাথে পরিচয় হয়। গ্রেফতারকৃত আব্দুর রব সমন্বয়ক হয়ে সবাইকে অনলাইনে একত্রিত করে শরীয়াহ ভিত্তিক রাষ্ট্র গঠন, জিহাদ, প্রভৃতি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতো। পরবর্তীতে তাদের অনলাইনে বিদেশে অবস্থানরত এক বাংলাদেশী সহযোগীর সাথে পরিচয় হয় এবং অডিও-ভিডিও কলে যোগাযোগ স্থাপন করে। বিদেশে অবস্থানরত ঐ ব্যক্তি সবাইকে হিজরত করে জিহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করে। পরবর্তীতে সেই সদস্য লিবিয়ায় অবস্থানরত আরও একজন বাংলাদেশী এবং টেকনাফের স্থানীয় একজনের সাথে সবার পরিচয় করিয়ে দেয়। সম্মিলিত আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় আব্দুর রব, শামীম, সাকিব, নাদিম, সাইদসহ অন্য যারা হিজরতে রাজি তারা প্রথমে টেকনাফ গিয়ে তাদের স্থানীয় সহযোগীদের মাধ্যমে ট্রেনিং গ্রহণ করবে। পরবর্তীতে তারা বাংলাদেশে ইসলামী শাসন কায়েমের জন্য জিহাদ করবে।
গত নভেম্বর/২০২২খ্রিঃ প্রথম সপ্তাহে সবাইকে নিজ নিজ ব্যবস্থাপনায় টেকনাফে যাওয়ার পরামর্শ প্রদান করলে গত ১৬/১১/২০২২খ্রিঃ তারিখে সাকিব ও নাদিম টেকনাফ যায় এবং স্থানীয় সহযোগী ও গ্রেফতারকৃত আবছার তাদেরকে টেকনাফে ভাড়া বাসায় থাকার ব্যবস্থা করে। গ্রেফতারকৃত আব্দুর রব ছুটি না পাওয়ায় যথাসময়ে দেশে আসতে ব্যর্থ হলে তারা টেকনাফের বাসায় অবস্থান করে তার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। গত ২২ নভেম্বর/ ২০২২খ্রিঃ তারিখে গ্রেফতারকৃত আব্দুর রব দেশে আসলে তার সহযোগী গ্রেফতারকৃত শামীম ঢাকা এয়ারপোর্ট হতে রিসিভ করে পূর্ব পরিকল্পনানুযায়ী তাদের অন্য সহযোগী ভাড়া করা বাসায় নিয়ে যায় এবং অবস্থান করে বিভিন্ন শলা-পরামর্শ করে। দুইদিন পর তারা দুইজন গ্রেফতারকৃত সাকিবদের সাথে মিলিত হয় এবং তাদের অন্যান্য সহযোগীদের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানায়, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও অনলাইন ভিত্তিক এ্যাপ্সে যোগাযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দল গঠন করতঃ স্থানীয় সহযোগীদের নিয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহন করে দেশে জঙ্গীবাদের জন্য টেকনাফে হিজরত করে অবস্থান করছিল।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ১টি মামলা রুজু হয়েছে।
ডিএমপির সিটিটিসি’র সিটি ইন্টেলিজেন্স এ্যানালাইসিস ডিভিশন কর্তৃক অভিযানটি পরিচালিত হয়।

শেয়ার বাটন