Monday, April 29সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

শেষ হলো কুমিল্লা সিটির ভোট গ্রহণ

সীমান্ত ডেস্ক: ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুপুর ১২টা পর্যন্ত সাতটি কেন্দ্রে গড়ে ৩৮ শতাংশ ভোট পড়ে। তবে চৌয়ারা বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এবং চৌয়ারা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় দুই কেন্দ্রেই ৪৪ শতাংশ ভোট পড়েছে। এগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন ৩০ শতাংশ ভোট পড়েছে ধনাইতরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে।

ভোটগ্রহণে ধীর গতির কারণে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে। তবে ব্যতিক্রম চিত্র দেখা গেছে, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তারাপাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরুষ কেন্দ্রে।

কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা এনামুল হক খান প্রথম আলোকে বলেন, সকাল থেকে ভোটারদের চাপ ছিল বেশি। দুপুর ১২টার মধ্যেই ৫০ শতাংশের মতো ভোটগ্রহণ হয়। এই কেন্দ্রে ভোটার ১ হাজার ৯৭৬ জন।

কুমিল্লা সিটির নির্বাচনে এবার মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচজন। নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক (রিফাত)। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ও সিটির সদ্য বিদায়ী মেয়র মনিরুল হক (সাক্কু) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন টেবিলঘড়ি নিয়ে।

নির্বাচনে আজ সকাল সোয়া নয়টার দিকে ভোট দেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক। তিনি বলেছেন, ভোটের পরিবেশ ভালো। তবে তিনি অভিযোগ করেন, ইভিএমে ধীরগতিতে ভোট গ্রহণ চলছে।

কিছু জায়গায় ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেছেন নির্বাচনী প্রচারের সময় ব্যাপকভাবে আলোচিত সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন। ভোট দিতে এসে তিনি বলেন, ভোটার আইডি নিয়ে গেছেন কিন্তু স্লিপ নিয়ে যাননি। তাই ভোট দিতে দেয়নি।

ইভিএম নিয়ে নানা মজার কাণ্ডও ঘটেছে। ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আলিয়া মাদ্রাসার একটি কেন্দ্রে ভোট দেওয়া নিয়ে বিভিন্ন মজার ঘটনার কথা জানান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. নাইমুর রহমান। তিনি বলেন, সকালে এক ভোটার গোপন কক্ষে গিয়ে ব্যালটে চাপ দেওয়ার পর শব্দ শুনে ভয় পেয়ে বের হয়ে যান। তাঁর ভোট অসম্পূর্ণ থাকায় অন্যদের ভোটও নেওয়া যাচ্ছিল না। তাঁকে বুঝিয়ে ফের ভোট দিতে গোপন কক্ষে পাঠানো হয়। এ ছাড়া দুই ভোটার ইভিএমের ইলেকট্রিক ব্যালটে চাপ দিতে গিয়ে নিচে ফেলে দেন বলেও জানান প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।

ইভিএমের ধীর গতির কারণে বিশেষ করে নারী ভোটারেরা অসুবিধায় পড়েছেন। সকাল আটটায় সিটি করপোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডে পদুয়ার বাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছিলেন অন্তঃসত্ত্বা খাদিজা বেগম। তিনি জানান, দুই ঘণ্টা ধরে গরমের মধ্যে তিনি লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। অনুরোধ করেও আলাদাভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাননি। তিনি একপর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বলছেন, অনুরোধ করেও ভোট দিতে না পারার বিষয়টি তিনি জানেন না।

নির্বাচনে বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে জাল ভোট প্রদান ও গোলযোগের চেষ্টায় ছয়জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে তিন মাসের সাজা দেওয়া হয়। অপর পাঁচজনকে তিন থেকে এক সপ্তাহের সাজা দেওয়া হয়।

সংরাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্র থেকে পাঁচ বহিরাগতকে সকাল সোয়া ১০টায় আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ, বিজিবি ও র‍্যাবের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বহিরাগতদের এলাকা ছাড়ার জন্য মাইকিং করেন।

শেয়ার বাটন