Sunday, May 5সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

শীত মোকাবেলায় সবরকম প্রস্তুতি নিয়েছে নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন

মোঃ জুলহাজুল কবীর, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: রাতে ঘন কুয়াশা, দিনে কুয়াশাচ্ছন্ন আকাশ সাথে শীতল হাওয়া। কমতে থাকা তাপমাত্রায় কনকনে শীতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনাজপুরের প্রান্তিক মানুষজন। বিশেষ করে নিম্ন আয়ের দিনমজুর শ্রেণির মানুষের কষ্টের মাত্রা বেড়েছে। দিনভর সূর্যের দেখা না মেলায় পরিবারের শিশু ও বয়স্ক লোকদের নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অনেকে। ‘কয়েক দিন ধরে জেলায় তাপমাত্রা হ্রাস পাচ্ছে। হিমালয় থেকে আসা হিমেল হাওয়া জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলছে। ফলে বেশি ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এ ছাড়াও মেঘাচ্ছন্ন আকাশ ও ঘন কুয়াশার কারণে ঠান্ডার তীব্রতা বেড়েছে। এ অবস্থা আরও কিছু দিন চলতে পারে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মাধ্যম।
সূত্রটি জাবিয়েছে, চলমান ঠান্ডা কয়েক দিন বিরাজ করতে পারে। মধ্য জানুয়ারির পর জেলায় একটি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। তবে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকবে বৃষ্টিপাতেরও সম্ভাবনা রয়েছে ।
দিনমজুর আনারুল বলেন, ‘রাতে এমন শীত আর কুয়াশা পড়ছে , মনে হচ্ছে টিনে বৃষ্টির পানি পড়ছে । ঠান্ডার কারনে হাত-পায়ে জোর পাওয়া যাচ্ছেনা। কাজ করতে ধরলে হাত চলছে না।
মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু পাখিরাও শীতের কষ্টে ভুগছে সমানভাবে।

নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আনিসুর রহমান জানান, শীতের শুরুতেই আমরা সরকারীভাবে ৩ হাজার ৫শত শীত বস্ত্র কম্বল উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করে অবশিষ্ট কম্বল ৯ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে বিতরনের ব্যবস্থা করেছি। তিনি আরও জানান, সরকারীভাবে আরও শীতবস্ত্র কম্বল বরাদ্দ খুব তাড়াতাড়ি পাওয়া যাবে আশা করছি। এদিকে শীতার্তদের জন্য বেসরকারীভাবে বিভিন্ন সংগঠন শীতবস্ত্র বিতরণ করেছে। ৭নং দাউদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আহসান হাবিব জানান, আমার ইউনিয়নে আপাতত ১হাজার শীতবস্ত্রের চাহিদা আছে। পরবর্তীতে বরাদ্দ পেলে বাকী শীতার্তদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
নবাবগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে প্রশাসন সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে।

শেয়ার বাটন