Sunday, May 5সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

ভয়াবহ সংঘাতের আবহ!

বিদেশ ডেস্ক:

  • ইউক্রেনে ৩০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থার ডাক দেয়া হতে পারে 
  • এখনো অশান্ত ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্ত স্যাটেলাইট ছবিতে সমরপ্রস্তুতি
  • রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্ররা
  • মার্কিন ডলার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা ক্ষতিগ্রস্ত হবে বিশ্ববাজার 
  • পুতিনের প্রশংসায় ট্রাম্প, নিষেধাজ্ঞা ভোগাবে আমেরিকানদেরও

ভয়াবহ সংঘাতের আবহ! ইউক্রেনে জরুরি অবস্থার ডাক। ৩০ দিনের জন্য এ পরিস্থিতি থাকবে বলে দেশের পার্লামেন্টে প্রস্তাব পেশ। অশান্ত এখনো ইউক্রেন-রাশিয়া সীমান্ত। স্যাটেলাইট ছবিতে সমর প্রস্তুতি স্পষ্টভাবে ধরা পড়েছে।

রাশিয়ার সমর্থনে ইউক্রেনের মধ্যেই বিদ্রোহীরা হামলার পরিমাণ বাড়িয়ে দিয়েছে। রুশপন্থিদের হামলায় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর এক সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ছয় ইউক্রেনের সেনা। পূর্ব ইউক্রেনের বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন রুশপন্থি যোদ্ধারা।

ইউক্রেন জানিয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ৯৬টি স্থানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। ক্রমশ অশান্ত হয়ে পড়ছে ওই অঞ্চলটি। এদিকে এপাশ থেকে রুশ সেনারাও এগিয়ে আসছে ইউক্রেনের দিকে।

এদিকে ইউক্রেনের দুই অঞ্চলকে স্বাধীন ঘোষণা করে সেখানে রুশ সেনা পাঠানোর নির্দেশের পর রাশিয়ার ওপর একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্ররা। তাদের সাথে সুর মিলিয়ে অস্ট্রেলিয়াও বলেছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ কার্যত শুরু হয়ে গেছে, পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা ‘পুরোপুরিভাবে’ শুরু হবে। 

তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখন পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছেন, তাতে পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর জন্য প্রস্তুত করে রাখা সব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেনি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি। দৃশ্যপট অন্যত্র দেখা গেলো মার্কিন প্রশাসনের ঘোষিত অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন জো বাইডেনের পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প।রাশিয়ার ওপর যেসব নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা এসেছে

যুক্তরাজ্য : যুক্তরাজ্য সবার আগে রাশিয়ার পাঁচটি ব্যাংক ও তিন ধনকুবেরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ইউক্রেনে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় রোসিয়া, আইএস ব্যাংক, জেনারেল ব্যাংক, প্রোমসভায়াজ ব্যাংক এবং ব্ল্যাক সি ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞার খবর জানান। রুশ যে তিন ধনকুবের যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন; তারা হলেন— গেনেদি তিমচেনঙ্কো, বরিস রোটেনবার্গ ও ইগোর রোটেনবার্গ।

নিষেধাজ্ঞার আওতায় যুক্তরাজ্যে তাদের সব সম্পদ জব্দ করা হবে, দেশটিতে তাদের ভ্রমণও নিষিদ্ধ থাকবে। যুক্তরাজ্যের কোনো নাগরিক তাদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা সম্পর্ক রাখতে পারবে না। ‘এটি প্রথম ধাপ এবং আমরা আরও নিষেধাজ্ঞা দেয়ার প্রস্তুতি রেখেছি’, বলেছেন জনসন। ইউক্রেন সংকট সহসা কাটবে না বলে ব্রিটিশ এমপিদের সতর্কও করেছেন তিনি।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন : ইউরোপের এই জোটটি রাশিয়ার ২৭ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ব্যাংকও আছে; ইউরোপীয় পুঁজিবাজারে প্রবেশ সীমিত করছে, ইইউ ব্যাংকগুলো থেকে অর্থ নেয়ার ক্ষমতা হ্রাস করছে। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইউক্রেনের দুটি অঞ্চলের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পাশাপাশি ডনবাসে সেনা পাঠানোয় সবুজ সংকেত দেয়া রুশ পার্লামেন্ট দুমার নিম্নকক্ষের ৩৫১ জনের মতো সদস্যকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে তারা।

যুক্তরাষ্ট্র : মঙ্গলবার রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু ছিল রুশ সামরিক বাহিনীর কর্মকাণ্ডে রাশিয়ার অর্থায়ন সক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করা। এ জন্য তারা দুটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংককে টার্গেট করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এই দুটি ব্যাংকই রাশিয়ার প্রতিরক্ষা খাতের চাবিকাঠি। নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা আর যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবসা করতে বা আমেরিকান আর্থিক ব্যবস্থায় প্রবেশ করতে পারবে না।

রাশিয়ার পাঁচ ধনকুবেরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে ওয়াশিংটন; সাথে যুক্ত হচ্ছে রাশিয়ার জাতীয় ঋণের সাথে জড়িত মার্কিন চুক্তিতে বিধিনিষেধও। রাশিয়া লুহানস্ক এবং দোনেৎস্কের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়ার পর ওই দুই অঞ্চলে মার্কিন নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা নিষিদ্ধ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওই দুটি অঞ্চলে অল্প কিছু মার্কিন সংস্থার কর্মকাণ্ড আছে। তবে হোয়াইট হাউজ বলেছে, ‘রাশিয়া ইউক্রেনে আরও আগ্রাসন চালালে’ তাদের ওপর আরও বিস্তৃত নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে।

জার্মানি : জার্মানি বলেছে, তারা রাশিয়া থেকে তাদের দেশে আসা নর্ড স্ট্রিম-২ গ্যাস পাইপলাইনটি অনুমোদন দেয়ার প্রক্রিয়া বন্ধ রাখার পদক্ষেপ নিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়া : অস্ট্রেলিয়ার নিষেধাজ্ঞার প্রথম দফায় রাশিয়ার ঊর্ধ্বতন আট নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও তাদের তেল ও গ্যাস খাতকে ‘টার্গেট’ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাশিয়া পুরোপুরিভাবে ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে বলে মনে করেন মরিসন। তাই এই মূহূর্তে ইউক্রেন থেকে আসতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের ভিসায় অগ্রাধিকার দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

জাপান : জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা বলেছেন, তিনি জাপানে রাশিয়ান বন্ড ইস্যু নিষিদ্ধ করবেন। ভিসা নিষেধাজ্ঞা ও বেশ কিছু রাশিয়ান ব্যক্তির সম্পদ জব্দ করবেন। ‘পরিস্থিতি আরও বেগবান হলে টোকিও অতিরিক্ত ব্যবস্থা আরোপের জন্যও প্রস্তুত’, বলেছেন তিনি আরও যেসব নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে কঠোর নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে আরও বড় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে পারে রাশিয়া; তার মধ্যে আছে—

সুইফট থেকে বাদ : ইউক্রেনে আগ্রাসন বাড়ালে বিশ্বব্যাপী আর্থিক বার্তা পরিষেবা সুইফট থেকে বাদ পড়তে পারে রাশিয়া। বিশ্বজুড়ে হাজার হাজার আর্থিক প্রতিষ্ঠান এটি ব্যবহার করে। এটি ঘটলে রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর জন্য বিদেশে ব্যবসা করা খুব কঠিন হবে। তবে এতে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানির মতো দেশগুলোরও ক্ষতি হবে, যাদের ব্যাংকগুলোর সাথে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। হোয়াইট হাউজ বলেছে, আগ্রাসনের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া হিসেবে এ ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার সম্ভাবনা কম।

মার্কিন ডলার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা : মার্কিন ডলার জড়িত এমন আর্থিক লেনদেন থেকে রাশিয়াকে নিষিদ্ধ করতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে কোনো পশ্চিমা প্রতিষ্ঠান কোনো রুশ প্রতিষ্ঠানের সাথে ডলারে লেনদেন করলে তাকে জরিমানার মুখোমুখি হতে হবে। এটি রাশিয়ার অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ দেশটির বেশির ভাগ তেল এবং গ্যাস বিক্রি হয় ডলারে। এটি রাশিয়ার বৈদেশিক বাণিজ্যের অন্যান্য খাতকেও পঙ্গু করে দিতে পারে। ডলার ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ার তেল ও গ্যাস রপ্তানি হ্রাস পাবে; যা রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল ইউরোপীয় দেশগুলোকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

ব্যাংকগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করা : যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ব্যাংকগুলোকে কালো তালিকাভুক্ত করে সেগুলোর পক্ষে আন্তর্জাতিক লেনদেন প্রায় অসম্ভব করে তুলতে পারে। মস্কোকে তখন ব্যাংকগুলোকে ধসের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে এবং মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি ও আয় হ্রাস এড়াতে যা যা করা দরকার তাই করতে হবে। তবে এ পদক্ষেপে পশ্চিমা বিনিয়োগকারী, যারা ব্যাংকগুলোতে অর্থ রেখেছেন তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এ ধরনের অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলাতে রাশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংক ৬৩০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভও রেখেছে।

প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানি বন্ধ : রাশিয়ায় উচ্চ পর্যায়ের প্রযুক্তিপণ্য রপ্তানি কমিয়ে দিতে পারে পশ্চিমারা। উদাহরণস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্র বিভিন্ন কোম্পানির সেমি-কন্ডাক্টর মাইক্রোচিপের মতো পণ্য বিক্রি বন্ধ করে দিতে পারে। গাড়ি থেকে স্মার্ট ফোন, সব কিছুতেই এসব সেমি-কন্ডাক্টর মাইক্রোচিপ ব্যবহূত হয়। এ পদক্ষেপ নিলে তা কেবল রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ খাতকেই ক্ষতির মুখে ফেলবে না, অর্থনীতির পুরো অংশকেই প্রভাবিত করবে।

জ্বালানিতে বিধিনিষেধ : রাশিয়ার অর্থনীতি বিদেশে গ্যাস ও তেল বিক্রির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ান জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম ও রোজনেফট থেকে তেল এবং গ্যাস কিনতে আপত্তি জানাতে পারে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে ইউরোপে গ্যাসের দাম বেড়ে যাবে এবং জ্বালানি ঘাটতি তৈরি করতে পারে। মনে রাখা দরকার, জার্মানির মতো দেশ তার গ্যাস সরবরাহের এক-তৃতীয়াংশের জন্য রাশিয়ার ওপর নির্ভরশীল। 

লন্ডনের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে রাশিয়ানদের প্রবেশ সীমিত করা : যুক্তরাজ্যের ব্যাংকগুলোতে রাশিয়ার অর্থ-সম্পদ এত বেশি যে, যুক্তরাজ্যের এ রাজধানীকে কখনো কখনো ‘লন্ডনগ্রাদ’ও বলা হয়। ব্রিটিশ সরকার বলছে, তারা ‘ব্যাখ্যাতীত সম্পদ অধ্যাদেশের’ মাধ্যমে এই সমস্যা মোকাবিলার চেষ্টা করছে, ব্যক্তিকে তার অর্থের উৎস জিজ্ঞেস করা হচ্ছে। যদিও এ ধরনের আদেশের ব্যবহার খুব কমই হচ্ছে।

নিষেধাজ্ঞা আমেরিকানদেরও ভোগাবে : যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভ বলেছেন, পশ্চিমাদের অবরোধের ফলে বিশ্ববাজার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ফলে তা ভোগাবে আমেরিকানদেরও। ‘অবরোধের ফলে দাম বাড়বে। আর এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমেরিকানরা, কিন্তু তা মস্কোকে তার বৈদেশিক নীতি পরিবর্তন করতে বাধ্য করবে না। আমাদের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞাগুলো যে বিশ্বব্যাপী আর্থিক ও জ্বালানি বাজারকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই’ রাশিয়ার সংবাদ সংস্থা রিয়া নভোস্তিকে তিনি এমনটাই বলেছেন। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞায় সাধারণ আমেরিকানরা ‘মূল্য বৃদ্ধির’ পরিণতি ভোগ করবে বলেও সতর্ক করেছেন তিনি। রাশিয়ার সাথে আমেরিকার অর্থনৈতিক ‘সম্পর্ক’ তুলনামূলক ছোট, তবে প্রেসিডেন্ট বাইডেন নিজেই স্বীকার করেছেন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তার দেশের জ্বালানি সম্পদের দামের উপরও প্রভাব ফেলতে পারে। ‘আমেরিকার জনগণ জানে, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষা কখনোই বিনামূল্যে হয় না। এটি মূল্যহীন হবে, সেই ভান করব না’ বলেছেনও তিনি।

পুতিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ট্রাম্প : মার্কিন প্রশাসনের ঘোষিত অবস্থানের বিরুদ্ধে গিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন জো বাইডেনের পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্প। পুতিন যেভাবে ইউক্রেনের স্বাধীনতা, অখণ্ডতা এবং গণতন্ত্রকে উপেক্ষা করেছেন, তাতে তাকে ‘জিনিয়াস’ বলে উল্লেখ করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট! মাঝে মধ্যেই নিজের শত্রুদের ‘বিশ্বাসঘাতক’ বলে আক্রমণ করেন ট্রাম্প। বহু ক্ষেত্রেই সেই আক্রমণ হয় ভিত্তিহীন। কিন্তু, এ ক্ষেত্রে যে বিদেশি রাষ্ট্রনেতা পুতিন ইতোমধ্যেই নিজেকে আমেরিকার শত্রু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন, কেবল ব্যক্তিগত স্বার্থেই ট্রাম্প তার হয়ে কথা বলছেন! একদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মুক্ত বিশ্বের বার্তা দিয়ে রুশবিরোধী শক্তিগুলোর নেতা হিসেবে নিজেকে তুলে ধরতে চাইছেন, অন্যদিকে ট্রাম্পের বার্তা হলো— তিনি যদি হোয়াইট হাউজে ফেরেন, তাহলে পুতিন আবার যুদ্ধবাজদের নেতা হিসেবে নিজেকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন! মঙ্গলবার রেডিওর একটি অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের উদ্দেশে এমনই বার্তা দিয়েছেন ট্রাম্প। অনেকেই মনে করছেন, ট্রাম্পের এই আচরণ মস্কোর ভালো লাগলেও পশ্চিমা মিত্রশক্তির চিন্তা বাড়াবে। কারণ, তারা খুব ভালো করেই জানে, ট্রাম্প আমেরিকার ক্ষমতায় ফিরলে পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নিতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রাম্প যা করেছেন, তা ভেবেচিন্তেই করেছেন

শেয়ার বাটন