Sunday, April 28সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

নবাবগঞ্জে সারের কোনো সংকট নেই: কৃষি কর্মকর্তা

মোঃ জুলহাজুল কবীর (নবাবগঞ্জ) দিনাজপুর: চাহিদা মতো সার পেয়ে খুশি সব শ্রেণীর কৃষক।দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা সদরসহ উপজেলার প্রায় সব এলাকায় এখন চলছে ইরি-বোরো চাষের মৌসুম। মাঠে মাঠে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। উপজেলার কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উপজেলা উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ হারুনুর রশীদ শাহ জানালেন, চলতি মৌসুমে সব রকমের সারের পর্যাপ্ত মজুত আছে । ইরি-বোরো মৌসুমে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ফলে সম্প্রতি হঠাৎ করে ইউরিয়া সারের দাম বৃদ্ধি, বিভিন্ন জায়গায় সারের সংকট, চাহিদা অনুযায়ী না পাওয়া এবং বেশি দামে বিক্রির খবর পাওয়া যাচ্ছিল । কিন্তু আমাদের নবাবগঞ্জে কৃষকের চাহিদার চেয়েও অনেক বেশি সার মজুূদ আছে।

রবিবার সকাল থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত বিভিন্ন ধরনের সার সরাসরি কৃষকদের কাছে সরকারি দামে বিক্রি করা হয়েছে। সারের চাহিদা কমে এসেছে। সার বিক্রয়ের মাধ্যমে বিতরণ অব্যাহত আছে।

সারের দাম বৃদ্ধি নিয়ে কৃষকরা বলছেন, সরকার প্রতি বস্তায় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বাড়িয়ে দিয়েছে। আগে বিঘাপ্রতি তিন হাজার থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতো। এখন তাদের চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা খরচ হবে। অর্থাৎ বিঘা প্রতি দেড় হাজার থেকে দুই হাজার টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে।
সারের দাম বৃদ্ধির কারণে অনেক কৃষক প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমাণ সার নিচ্ছেন। ৪০ কেজি নিতে এসে দাম বাড়ার কথা শুনে কেউ কেউ নিচ্ছেন ২০ থেকে ২৫ কেজি।

সরকার নিবন্ধিত সারের ডিলার মেসার্স সায়মা এন্টার প্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ মেহেদী হাসান জানান, এবার সার নিয়ে কৃষকদের কোনো চিন্তা নেই। সব রকমের সার রয়েছে আমার গোডাউনে । গত মৌসুমের চেয়ে এ মৌসুমে সারের বরাদ্দ অনেক বেশী। আমি কৃষকদের চাহিদা মতো সার দিতে পারছি এজন্য সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানাই।
রোপা আমন মৌসুমে নবাবগঞ্জের দাউদপুর বাজারের সার বিক্রেতারা বিভিন্ন কৌশলে বেশি দামে রাসায়নিক সার বিক্রি করছেন বলে চাষিদের অভিযোগ। গত মৌসুমে বাধ্য হয়ে তারা ১১শ টাকার সার ১৪শ টাকায় কিনছেন । এমন পরিস্থিতিতে কৃষি বিভাগের কোনো তদারকি ছিলনা বলেও জানান কৃষকেরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রসেনজিৎ তালুকদার জানান, আমরা আশা করছি চলতি মৌসুমে সার নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।

শেয়ার বাটন