Sunday, May 5সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

দেবহাটায় মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

দেবহাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ দেবহাটা নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ঘোনাপাড়া রহমানিয়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবুল বাশার দুর্নীতির শীর্ষে নামে মহিলা মাদ্রাস অথচ ছেলে মেয়ে ভর্তি আছে ওখানে ক্লাস করে উক্ত মাদ্রাসার কমিটির সদস্য মোঃ সামসুর রহমান সহ অনেক সদস্য রা অভিযোগ করেন মাদ্রাসা সুপার আবুল বাশার বহু টাকা আত্মসা ও নিয়োগের নামে বহু টাকা বাণিজ্য করেন।
ঘোনাপাড়া-মহিলা মাদ্রাসার সব দাখিল পরীক্ষার্থীই ভূয়া দেখিয়ে এমপিও করা হয়েছে। তা শুধু কাগজ কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে। তারই সত্যতা মিলেছে ২০২৪ সালের দাখিল পরীক্ষায়। ওই প্রতিষ্ঠানটিতে ১৮ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার কথা থাকলেও প্রথম দিনে ৭ জন উপস্থিত্রে ছিল। ২য় ও ৩য় দিনের পরীক্ষায় ওই ১৮ জনের একজনও অংশ নেয়নি। পরে বিষয়টি খোঁজ নিলে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
অভিযুক্ত আবুল বাশার উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের জিয়াদ আলীর ছেলে ও ঘোনাপাড়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার। ২০১৯ সালের ২১ নভেম্বর ঘোনাপাড়া মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আবুল বাশার জালিয়াতি করে এবতেদায়ী পরীক্ষায় ৯ ভুয়া পরীক্ষার্থীসহ ধরা পড়ে। ২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি পাঁচ বছরে শতাধিক বাল্যবিয়ে দেওয়ায় অপরাধে ম্যারেজ রেজিষ্টার ও মাদ্রাসা সুপার আবুল বাশার গ্রেফতার হন। এছাড়া চেক জালিয়াতি মামলায় বেশ- কিছুদিন আগে দেবহাটা থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে সে ঘোনাপাড়া রহমানিয়া মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার আব্দুস সাত্তারকে কৌশলে সরিয়ে নিজে এই পদ দখল করেন। এরপর পুরাতন শিক্ষকদের পরিবর্তে নতুন শিক্ষক নিয়োগের নামে চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। জেডিসি ও দাখিল পরীক্ষায় ভূয়া পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসানো, শিক্ষক নিবন্ধনের জাল সনদ বিক্রিসহ অসংখ্য জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে আবুল বাশারের বিরুদ্ধে। মাদ্রাসার শিক্ষার্থী রাখি জানান, গত বছর ২০২০ সালে সে দশম শ্রেণিতে পড়াকালে পাখি নামে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এবছর নিজে পরীক্ষার্থী হয়েও সে পরীক্ষা দিতে পারেনি। রেজিস্ট্রেশনের অন্নহাতে তাকে কর্তৃপক্ষ পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়নি বলেও অভিযোগ করেছে সে। আর এক শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন জানান, শুধু সে নয় তার মত তাদের বান্ধবী আয়েশা, মাসুমা ও শার- মিন এবছর পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।
কুলসুম নামের এক নারী জানান, তিনি ২৬ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। তবে পরীক্ষার প্রবেশপত্র তার কাছে নেই। পরীক্ষা শেষ হওয়ার সাথে সাথে তাদের হাতে থাকা প্রবেশপত্র সুপারকে দিয়ে দিতে হয়। এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে স্থানীয় সামছুর রহমান বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জেলা প্রশাসক ও জেলা অফিসারের কার্যালয় বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি জানান,ঢ মাদ্রাসার সুপার এমপিও করার পূর্বে পুরাতন শিক্ষকদের বাদ দিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করেছে। সে খুব ধুরন্ধর হওয়ায় বার বার অপরাধ করেও অদৃশ্য শক্তির বলে পার পেয়ে যান।মাদ্রাসার সুপার আবুল বাশারের দুর্নীতির কারণে দেবহাটা পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন আমি দুর্নীতির কালোবাজারি সাথে থাকতে চাইনা আমি ওই মাদ্রাসার থেকে সভাপতি পদে। হতে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিলাম। এদিকে, মাদ্রাসার সুপার আবুল বাশারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। উপজেলা শিক্ষা অফিসার আব্দুল হামিদ জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমার জানা নেই। ২য় দিনের পরীক্ষায় কেউ অংশ না নেওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখবো। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আসাদুজ্জামান জানান, বিষয়টির সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার বাটন