Sunday, May 5সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

ক্লুলেস হত্যার মামলা রহস্য উদঘাটন: গ্রেফতার-১

হাসানুজ্জামান সুমন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ আজ ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার দুপুর ১১:০০ ঘটিকা ডিএমপির  মিডিয়া সেন্টার প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান,ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপস্),এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার,ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী বিভাগের যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের চৌকস একটি টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও ছিনতাইদয়ের ঘটনায় জড়িত সংঘবদ্ধ চক্রের ০১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে। গত ২৬.০১.২০২৩ তারিখে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানা এলাকা হতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতের নাম-মোঃ আরিফ (২৮)। গ্রেফতারের সময় তার হেফাজত হতে ছিনতাইকৃত ০১ টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২.০১.২০২৩ তারিখ ভোর ০৫:১০ ঘটিকায় যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশের চৌকস একটি মোবাইল টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, যাত্রাবাড়ী থানাধীন ধলপুর এলাকায় একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ছিনতাইকারী কর্তৃক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে। সংবাদ প্রাপ্তির সাথে সাথে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে মোবাইল টিম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিমদেক মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে মোবাইল টিমের ইনচার্জ এসআই,শামীম রেজা ভিকটিমের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেন। এরপর উক্ত মোবাইল টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে,ঘটনাস্থল এর আশে পাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা, ভিকটিমের কাছে প্রাপ্ত জিনিসপত্র ও প্রযুক্তিগত সহায়তার মাধ্যমে জানতে পারেন যে, মৃত ব্যাক্তি (ভিকটিম) খলু মিয়া (২৮) ঢাকার নারায়নগঞ্জের রূপসী এলাকায় গার্মেন্টস কর্মী হিসাবে নিয়োজিত ছিল। গত ২২.০১.২০২৩ তারিখে গাইবান্ধা থেকে সোনালী পরিবহনে ভিকটিম খলু মিয়া (২৮) রাত অনুমান ০৩:৩০ ঘটিকায় যাত্রাবাড়ী থানাধীন গোলাপবাগ পৌঁছায়। সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষনে দেখা যায় যে, ভিকটিম গোলাপবাগ থেকে পাঁয়ে হেঁটে ধলপুর কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দিয়ে মায়ের দোয়া টায়ার এন্ড ব্যাটারী শপের সামনে (হেপি টাওয়ার এর পাশে) পৌঁছালে পূর্ব হতে ওৎপেতে থাকা অজ্ঞাতনামা কতিপয় ছিনতাইকারী ভিকটিমকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত মোঃ আরিফ (২৮) জানায় যে, ঘটনার সাথে জড়িত একাধিক ছিনতাই মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হওয়ায় সে দীর্ঘদিন যাবৎ তার নিজ বাসায় অবস্থান না করে পলাতক ছিল। কিন্তু অত্র মামলার ঘটনার পরপর পুলিশী তৎপরতা দেখে হত্যার ঘটনা হতে নিজেকে রক্ষা করার জন্য এবং হত্যা ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা করে ঘটনার পরদিন পূর্বের ওয়ারেন্ট মূলে গ্রেফতার হওয়ার লক্ষ্যে নিজের বাসায় অবস্থান করেন। ঐ দিন রাতেই পুলিশ পূর্বের ওয়ারেন্ট মূলে আরিফকে গ্রেফতার পূর্বক জেল হাজতে প্রেরণ করেন। আভিযানিক টিম জেলহাজতে গিয়ে আসামী মোঃ আরিফকে সনাক্ত পূর্বক তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করিলে বিজ্ঞ আদালত ০৩ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পুলিশ রিমান্ডে এনে আসামী মোঃ আরিফকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে যে, সে তার অন্যান্য সহযোগীদের নিয়ে ঘটনার দিন রাতে একটি ছুরিসহ ধলপুর নতুন রাস্তায় একটি ব্যাটারীর দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো। ভিকটিম রাস্তা দিয়ে আসার পথে তারা তার গলায় ছুরি ধরলে লোকটি তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করে। ঘটনার একপর্যায়ে তারা ভিকটিমের বুকে উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে ভিকটিমের মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত মোঃ আরিফ (২৮) বিজ্ঞ আদালতে নিজের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে তার অপরাপর সহযোগীদের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করে। পলাতক অপর আসামী সোহেলসহ উক্ত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত আছে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় ০১ টি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ জিয়াউল আহসান তালুকদার এর নির্দেশনায়, অতিঃ উপ-পুলিশ কমিশনার, (ডেমরা জোন) জনাব মোঃ মাসুদুর রহমান মনির এর তত্ত¡াবধানে, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডেমরা জোন) জনাব মধুসূদন দাস এর নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

শেয়ার বাটন