Monday, April 29সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

আশাশুনির কাকবাসিয়া বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাতানো নিয়োগের অভিযোগ

আশাশুনি (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: আশাশুনির কাকবাসিয়া বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৫টি পদে পাতানো নিয়োগের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার ভেন্যু ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ড. শিহাব উদ্দিন এর নিজ কার্যালয় সাতক্ষীরা সিটি কলেজে। প্রধান শিক্ষক সভাপতির স্ত্রী পারভীন সুলতানা। পাতানো নিয়োগ ও টাকা ফেরত চেয়ে সভাপতির বিরুদ্ধে আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছেন চাকরি প্রত্যাশী রেক্সোনা খাতুন ও মনিরুজ্জামান।
এদিকে পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে প্রবেশপত্র প্রার্থীদের কাছে পৌঁছানোর কথা থাকলেও মাত্র ১২ ঘণ্টা আগে প্রার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে সই করানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য ও আয়া পদে প্রার্থী খাজরা ইউনিয়নের চেউটিয়া গ্রামের খালেদা খাতুন। তিনি জানান- গত ১০/৬/২০২৩ তারিখে সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগের বার্তা পত্রিকায় কাকবাসিয়া বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১জন ল্যাব সহকারি, ১জন অফিস সহায়ক, ১জন পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ১জন আয়া ও ১জন নিরাপত্তা কর্মী পদে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হলে আমি আয়া পদে আবেদন করা। নিয়োগ পরীক্ষার কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা আগে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের হাতে প্রবেশপত্র পৌঁছানোর কথা থাকলেও দেওয়া হয়নি। খালেদা খাতুন জানান, শনিবার বিকাল তিনটা সাতক্ষীরা সিটি কলেজে পরীক্ষা গ্রহণের ভ‍েনু নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় স্কুলের নৈশপ্রহরী আকরাম আলী পরীক্ষার প্রবেশপত্রটি আমার কাছে নিয়ে আসে কিন্তু আমি স্বাক্ষর করিনি।
এ সময় ম্যানেজিং কমিটির অপর অভিভাবক সদস্য আবুল কালাম গাজী উপস্থিত হয়ে ওই প্রার্থী খালেদা খাতুনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেন। এ বিষয়ে অভিভাবক সদস্য আবুল কালাম গাজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন নিয়োগের ব্যাপারে রেজুলেশন এর স্বাক্ষর করেছি মাত্র। নিয়োগের বিষয় সভাপতি, প্রধান শিক্ষক ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে জিজ্ঞাসা করলে উনারা উত্তর দিতে পারবেন।
আনুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল কুদ্দুস জানান, চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রতারণা করে টাকা নেওয়ায় টাকা ফেরত চেয়ে সভাপতির বিরুদ্ধে রেক্সোনা খাতুন (আয়া) ৮ লক্ষ টাকা ও মনিরুজ্জামান (নিরাপত্তা কর্মী) ১০ টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় গ্রাম আদালতে ৩৯/২০২৩ ও ৪০/২০২৩ নং অভিযোগ করেছেন। আগামী ১৫ দিন পর গ্রাম আদালতে তার শুনানি হবে। তিনি আরও বলেন সভাপতি ও তার প্রধান শিক্ষক স্ত্রী মিলে ৮০ লক্ষ টাকার মিশনে নেমেছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা পারভিন সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে পরীক্ষা হবে। দিন নির্ধারণ হয়নি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পরীক্ষার্থীরা প্রবেশ পত্র পেয়েছেন। ৫ টি পদে ৩০/৪০ জন আবেদন করেছেন।
সভাপতি ড. শিহাব উদ্দিন এ বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে তাৎক্ষণিকভাবে কথা বলতে রাজি হননি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নিয়োগ পরীক্ষার এক সপ্তাহ আগে প্রবেশ পত্র পাঠানোর নিয়ম। তবে এ ব্যাপারে কোন প্রার্থী এখনও আমার কাছে অভিযোগ করেননি।

শেয়ার বাটন