হাসানুজ্জামান সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি: গভীর শ্রদ্ধা ও যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস – ২০২৩ নির্বিঘ্নে উদযাপনের ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে সবধরনের প্রস্তুতি। এ উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম-বার, পিপিএম।
রবিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১:৩০টায় অমর একুশে ফেব্রুয়ারি তথা শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে দুই ভাগে। প্রথমে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও কূটনীতিকরা শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। অতিমারী করোনাভাইরাস সংকটের পর এবারই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহিদ মিনারে আসবেন। এরপর শহিদ মিনার সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সাধারণ জনগণ পলাশী মোড় ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে এসে শহিদ মিনারে প্রবেশ করে ফুলেল শ্রদ্ধা জানাবেন। অন্য কোনো পথে শহিদ মিনারে প্রবেশ করলে বাধার সম্মুখীন হবেন।
ফুলে শ্রদ্ধা জানানোর পর দোয়েল চত্বর ও চাঁনখারপুল দিয়ে বের হয়ে চলে যাবেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পর রাজধানীর সর্বস্তরের মানুষ শহিদ মিনারে আসবেন। এজন্য আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও আমাদের সহযোগিতা করছে। আমরা শহিদ মিনারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তিন ভাগে ভাগ করেছি। প্রথম ভাগ – ২০শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা; দ্বিতীয় ভাগ – ২১শে ফেব্রুয়ারি ভোর ৪টা থেকে দুপুর ২টা; তৃতীয় ভাগ – ২১শে ফেব্রুয়ারি দুপুর ২টা থেকে ২১শে ফেব্রুয়ারি রাত ১০টা পর্যন্ত সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করবে ডিএমপি।
শহীদ মিনারে সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, পলাশী মোড় থেকে শুরু করে দোয়েল চত্বর পর্যন্ত সমগ্র এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকে পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরা দিয়ে নজরদারিতে রাখা হবে। আমাদের আর্চওয়ে থাকবে, সেটা দিয়ে শহীদ মিনারে আসা মানুষকে প্রবেশ করতে হবে। কোনো ব্যাগ কিংবা অন্য কোনো জিনিস নিয়ে শহীদ মিনারে প্রবেশ করা যাবে না। আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করছি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত ১২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রাব্বানী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) মীর রেজাউল আলম বিপিএম-বার (অতিরিক্ত আইজিপি পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত); অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) ড. খঃ মহিদ উদ্দিন বিপিএম-বার; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মোঃ মুনিবুর রহমান; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মোঃ আসাদুজ্জামান বিপিএম-বার; যুগ্ম-পুলিশ কমিশনারগণ, উপ-পুলিশ কমিশনারগণ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।