Thursday, May 2সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

হত্যার অভিযোগে ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা; ময়নাতদন্তে বেরিয়ে এলো আত্মহত্যা

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অটোভ্যান চালক আরিফ হোসেন (২০) মৃত্যুর ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করলেও ময়নাতন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর কারন হিসেবে আতœহত্যা উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রবিউল করিম।

নিহত অটোভ্যান চালক আরিফ হোসেন শাহজাদপুর উপজেলার পোরজনা ইউনিয়নের উল্টাডাব গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে।

পুলিশ জানায়, গত ৪ আগষ্ট রাতে খাবার খেয়ে ঘুমাতে যায় আরিফ হোসেন। সকালে ঘরের মধ্যে তার লাশ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। আরিফ হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে তার বাবা মিজানুর রহমান উল্টাডাব গ্রামের সবুজ, আল-আমিন, লাল, আব্দুল আলীম, হাবিবুল্লাহ, আহম্মদ আলী, আব্দুর রহমান, সাকোয়াত হোসেন, সৈয়দ আলী, আরিফ হোসেন, মজিবর রহমান, বাবু শেখ, মো. হারুন, সুমন, হালিমকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, উল্লেখিত আসামীদের সাথে বাদী মিজানুর রহমানের পরিবারের কোন্দল থাকায় আসামীরা তাদের মারপিট ও খুন জখম করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে। গত ৪ আগষ্ট আরিফ হোসেন রাতের খাবার খেয়ে ঘরে ঘুমাতে যায়। রাত ১২টার দিকে আসামীরা বাড়িতে প্রবেশ করে ঘরের দরজা খুলে গোপনে আরিফ হোসেনকে গলা চিপিয়ে অথবা গামছা দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে মৃত অবস্থায় বিছানার উপর ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। ৫ আগষ্ট সকালে আরিফের মা ভাত খাওয়ার জন্য আরিফকে ডাকতে গিয়ে দেখতে পায় ঘরের দরজা খোলা। আরিফের লাশ বিছানায় পড়ে আছে। তাকে হত্যা করার অভিযোগ এনে ১৫ জনকে আসামী করে ৬ আগষ্ট শাহজাদপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আরিফ হোসেনের মৃত্যু কারন হিসেবে আতœহত্যা উল্লেখ করা হয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহজাদপুর থানার সাব-ইন্সপেক্টর রবিউল করিম বলেন, আরিফ হোসেনের মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা তার লাশ উদ্ধার করি। পরিবারের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে। এজন্য তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। ইতমধ্যে আমরা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। তার মৃত্যুর কারন হিসেবে আতœহত্যা উল্লেখ করা হয়েছে। মামলাটির তদন্ত কাজ চলছে। তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবো।

শেয়ার বাটন