Monday, April 29সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

সেহেরি ও ইফতারে যা খাবেন, যা খাবেন না

ধর্ম ডেস্ক: পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়েছে। সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি লাভের আশায় এক মাস সিয়াম সাধনা করবেন বাংলাদেশের ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা।

পুষ্টিবিদরা বলছেন, দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পর সাহরি ও ইফতারে খাদ্য দ্রব্য বাছাই করা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে। এসময় জীবন-যাপনে কিছুটা পরিবর্তন আসে, পরিবর্তন আসে নিয়মিত কাজের ধরনেও।

রোজায় একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষ স্বাস্থ্য ঠিক রেখে কীভাবে রোজা করবেন বা রোজার সময় কোনও ধরনের খাদ্য দ্রব্য বেশি নেয়া উচিত তা জানা প্রয়োজন।

এছাড়া ইফতারে ঘরে তৈরি খাবারই সবচেয়ে নিরাপদ। বেশি তেলে ভাজা বাজারের ইফতার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তৈলাক্ত খাবার, ভাজা পোড়া বর্জন করাই ভালো। এর পরিবর্তে ফল ও খেজুর শরীরে পুষ্টি ও শক্তি যোগাবে।

সঙ্কটপূর্ণ এই সময়ে রোজায় সুস্থ থাকতে পুষ্টিবিদদের ১০ পরামর্শ—

ভাজাপোড়া খাবার নয়
মাছ ডাল ভাত আদর্শ খাবার। ভোররাতে গরুর মাংস এড়িয়ে মুরগি খেলে ভালো হবে। তবে শাকসবজি ও ডাল শরীরের জন্য ভালো হবে।

খাদ্য তালিকায় কী থাকবে?
পানি, ফল, চিড়া, রুটি, ভাত, সবজি, ডাল, ডিম, হালকা খিচুড়ি খাওয়া যেতে পারে। এসব খাবার শরীরে শক্তি বাড়ায়।

সতর্ক হয়ে খেতে হবে
মাঝে-মধ্যে ইফতারির পর হালকা কম তেলযুক্ত তেহারি খাওয়া মন্দ না। নিয়মিত যেসব খাবার খান রোজার সময়েই সেগুলোই তার জন্য যথেষ্ট। তবে সারাদিন রোজা পালন শেষে পানি খেতে হবে পর্যাপ্ত।

সহজে যাতে হজম হয়
রোজা পালনকারী ব্যক্তিকে বুঝতে হবে কোনও খাবারগুলো সহজে হজম হয়। এসব খাবারকেই বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। যেসব খাবার হজমে সমস্যা করে সেগুলো না খাওয়াই ভালো।

একবারে বেশি খাবার থেকে বিরত থাকা
অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। ফল ও সবজি দিয়ে পরিমাণ মতো ইফতার করা যেতে পারে।

খাবার কিভাবে খাবেন?
ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খেতে হবে। ইফতারির শুরুতেই পানি শরীরের জন্য উপকারী। পাশাপাশি খেজুর খেতে হবে। যা শরীরে শক্তি যোগান দেবে।

স্যুপ হতে পারে দারুণ খাবার
রোজার সময় সারাদিন পর স্যুপ শরীরকে সতেজ রাখে ও হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। শাক সবজি, বাঁধাকপি বাদ দিয়ে ফুলকপির স্যুপ বা লেটুস পাতার স্যুপ অনেক উপকারী। লেটুস পাতায় কোনও গ্যাস হয় না।

খাবার ও জীবনাচরণ ঠিক রাখা
শুধু খাবারই নয় বরং এর পাশাপাশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। ইফতারের পর বা সাহরির পর ধূমপান থেকেও বিরত থাকা উচিত।

ওষুধ সেবন
যারা দুর্বলতা, ক্লান্তি, অ্যাসিটিডি, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ বা কিডনি জটিলতায় ভুগছেন তাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে।

শেয়ার বাটন