Friday, May 3সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

নবাবগঞ্জে খুনের ঘটনা, ৫ ঘন্টায় খুনের রহস্য উদঘাটন

মোঃ জুলহাজুল কবীর, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তাওহীদুল ইসলাম বলেন, ‘ স্বামীর হাতে খুন হওয়া মর্জিনার মা গোলাপি বেগম বাদী হয়ে ঘটনার রাতেই অভিযোগ দায়ের করলে জামাই শহিদুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।’

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে পারিবারিক কলহের জেরে মর্জিনা বেগম (৩২)কে খুন করেছে স্বামী শহিদুল ইসলাম। তাদের একমাত্র মেয়ে মোছাঃ আফরিন জান্নাত (০৬) ও ছেলে আলআমিনকেও মাথায় আঘাত করেন তার বাবা। ঘটনার পরপরই খুনি শহিদুল ইসলাম পালিয়ে যায়।

শনিবার ২০ (এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার হেয়াতপুর (চিনিরচড়া) গ্রামে মর্মান্তিক এ ঘটনা ঘটে। মর্জিনা বেগম একই এলাকার শহিদুল ইসলামের স্ত্রী। শহিদুল ইসলাম হেয়াতপুর গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে। পেশায় সে দিন মজুর হিসেবে গাছ কাটার কাজ করতো। একই ঘটনায় গুরুতর আহত শিশু আফরিন জান্নাত ও আলআমিন কে স্থানীয় লোকজন নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক মনে করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন, চিকিৎসা চলাকালে ২১এপ্রিল সকালে মেয়ে আফরিনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ছেলে আল আমিন চিকিৎসাধীন রয়েছুে বলে জানা গেছে।
এলাকাবাসী ও থানা পুলিশ সূত্রে পাওয়া তথ্যে জানা গেছে – ছেলে মেয়ের মোবাইলে গেম খেলাকে কেন্দ্র করে মর্মান্তিক খুনের এ ঘটনা ঘটেছিল। শনিবার রাতে খুন হওয়া মর্জিনা বেগম রান্না করছিল। ছেলে মেয়ে দুজন ঘরে মোবাইলে দেখছিল। এ সময় হঠাৎ ছেলেমেয়েরা চিল্লাচিল্লি করলে মা মর্জিনা বেগম ছেলে মেয়েকে থামতে বলে। একপর্যায়ে মা তাদের থাপ্পড় দিলে বাবা শহিদুল ইসলাম উত্তেজিত হয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তর্ক বিতর্কের একপর্যায়ে মর্জিনা বেগমকে (৩২) বাশের খাঠিয়া দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে স্বামী শহিদুল। গুরুতর আহত হয় ছেলে ও মেয়ে। আহত ছেলে মেয়েকে গুরুতর জখম অবস্থায় স্থানীয়রা নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক মনে করে রংপুর মেডিকেলে রেফার্ড করেন। চিকিৎসাধীন মেয়ে শিশুটি মৃত্যুবরন করে।

মর্মান্তিক এবং লোমহর্ষক এ খুনের ঘটনা তদন্ত প্রায় শেষ পর্যায়ে। তদন্ত শেষ হলেই বিস্তারিত জানা যাবে হবে বলে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

শেয়ার বাটন