Saturday, April 27সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সভায় দুই পক্ষের হাতাহাতি

বরিশাল: বরিশাল জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সভার ব্যানারে পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদের ছবি থাকা নিয়ে নেতাকর্মীদের দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি হয়েছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর নগরীর সদর রোডের কীর্তনখোলা মিলনায়তনে পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমীন হাওলাদারের উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটে।

এ সময় রওশনের ছবি সংবলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলেন বর্তমান চেয়ারম্যান জিএম কাদেরপন্থীরা। এ নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সভা পণ্ড হয়ে যায়। এই ধারাবাহিকতায় গতকাল ঝালকাঠি ও বরগুনায় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সভা বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।

বরিশাল বিভাগ জাতীয় পার্টিকে রওশনপন্থী করার চেষ্টা নেতাকর্মীরা ব্যর্থ করে দিয়েছেন বলে দাবী করেছেন মহানগর জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন তাপস। তবে ওই ব্যানারে মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের ছবি না থাকায় তারা পরিকল্পিতভাবে সভা বানচালের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক একেএম মুর্তজা আবেদীন।
প্রত্যক্ষদর্শী জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর কীর্তনখোলা মিলনায়তনে সাংগঠনিক সভায় আয়োজন করে জেলা জাতীয় পার্টি। রাত ৮টার দিকে সভায় উপস্থিত হন প্রধান অতিথি পার্টির কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার।

এ সময় সভার ব্যানারে রওশন এরশাদের ছবি থাকায় প্রতিবাদ জানান মহানগর জাপার আহ্বায়ক অধ্যাপক মহসিন উল ইসলাম হাবুল ও সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন তাপসের অনুসারীরা। তারা হৈ-চৈ শুরু করেন। এর প্রতিবাদ জানান জেলা জাপার আহ্বায়ক মর্তুজার অনুসারীরা। এ নিয়ে সভায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।

একপর্যায় মহানগর জাপার নেতাকর্মীরা রওশনের ছবি সংবলিত ব্যানার ছিড়ে ফেলেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। প্রধান অতিথি রুহুল আমীন হাওলাদার দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে বক্তৃতা দিয়ে দ্রুত সভা শেষ করেন তিনি।

জাতীয় পার্টি জেলা কমিটির আহ্বায়ক একেএম মুর্তজা আবেদীন জানান, পার্টির কো-চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সভা চলাকালে হাবুল ও তাপসের কয়েকজন কর্মী সভায় হট্টগোল করে। জেলা জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সভার ব্যানারে হাবুল-তাপসের ছবি না দেয়ায় তারা ব্যানারটি ছিড়ে ফলে। এতে সভায় উত্তেজনার সৃষ্টি হলে কো-চেয়ারম্যান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

শেয়ার বাটন