Saturday, April 27সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

চোরাই আইফোনের আন্তদেশীয় কারবার, গ্রেফতার ৯ ভারতীয়

হাসানুজ্জামান সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি: পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে চুরি ও ছিনতাই হওয়া দামি মোবাইল ফোন ও কসমেটিক, শাড়ি, থ্রি-পিস এনে বাংলাদেশে বিক্রি করতো। ফিরে যাওয়ার সময়ে নিয়ে যেতো দেশে চুরি হওয়া আইফোনসহ দামি স্মার্টফোন। এভাবেই দুই দেশের চোরাই মোবাইল ফোন অদল-বদল করে বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। সম্প্রতি চোরাই মোবাইল ও চোরাচালানের মাধ্যমে কসমেটিক, শাড়িসহ তারা ধরা পড়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) জালে।

রাজধানীর বাড্ডায় ডিএমপির গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান নেতৃত্বে এই চক্রের ৯ জন ভারতীয় ও একজন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলো— ভারতীয় নাগরিক রাজা শাও, পঙ্কজ বিশ্বাস, উৎপল মাইটি, দীপঙ্কর ঘোষ, রাজু দাস, সুজন দাস, এস কে আজগর আলী, লারাইব আশ্রাব, সমরজিৎ দাস ও বাংলাদেশি নাগরিক মুরাদ গাজী।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২১টি দামি মোবাইল ফোনসহ চোরাচালানের মাধ্যমে ভারত থেকে আনা বিপুল পরিমাণ কসমেটিকস, শাড়ি, থ্রি পিস, ৫টি ভারতীয় পাসপোর্ট ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় ঘটনাস্থলে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে একটা চক্র বাংলাদেশ থেকে আইফোন, স্যামসাং ফোনসহ অন্যান্য স্মার্টফোন চুরি করে ভারতে পাচার করতো। আবার ভারতে চুরি হওয়া কিছু মোবাইল ফোন বাংলাদেশে এনে বিক্রি করতো। গতকাল বুধবার (৬ মার্চ) দিবাগত রাতে রাজধানীর মধ্য বাড্ডা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্য সম্পর্কে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গ্রেফতার বাংলাদেশি মুরাদ গাজী তার বোন ববিকে নিয়ে মধ্য বাড্ডায় নিজের বাসায় দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে ভারতীয় কাপড়-চোপড়, জুতা-স্যান্ডেল, তেল, সাবান, কসমেটিক্স, সেক্স পিল ও জেল বিক্রি করে আসছে। গ্রেফতাররা স্বীকার করেছে যে জব্দ করা মালামাল কোনটাই বৈধ পথে আনা হয়নি। কলকাতা থেকে ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে যে আন্তদেশীয় ট্রেন চলাচল করে সেই ট্রেনে করে তারা দীর্ঘদিন ধরে কোনও ট্যাক্স পরিশোধ না করে এই ভারতীয় মালামালগুলো চোরাই পথে বাংলাদেশ আনে এবং বিক্রি করে থাকে।

গ্রেফতাররা স্বীকার করেছে, ইতোপূর্বে তারা কাপড়ের গাট্টির মধ্যে শত শত চোরাই মোবাইল, শত শত বোতল মদ এবং বিয়ার বাংলাদেশে এনে বিক্রি করেছে। রমজান মাস ও ঈদের পূর্বে মদ বিয়ার না এনে তারা কোনও শুল্ক ও ভ্যাট পরিশোধ না করে অবৈধভাবে শুধু কসমেটিক্স, কাপড়-চোপড়, জুতা-স্যান্ডেল, সেক্স পিল এনে মজুত করতেছিল।

এই চক্রের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

শেয়ার বাটন