Friday, May 3সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

কালীগঞ্জে এসিল্যান্ডের উপর প্রভাব বিস্তার করে রেকর্ডিও জমির ঘেরা কাটার অভিযোগ

হাফিজুর রহমান, নিজস্ব প্রতিনিধি: মন্দিরে যাওয়ার রাস্তার নাম ভাঙিয়ে জেলা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উপর নিজ ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে প্রতিবেশীর জমি দখল ঘেরা কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের (সি এ) কমিশনার ভূপালী সরকারের বিরুদ্ধে। দুর্গাপূজার ছুটিতে বাড়ি এসে বাবা কাকার কথামতো শত বছরের দখলি রেকডিও জমির উপর দিয়ে জোরপূর্বক মন্দিরে যাওয়ার পথের নাম ভাঙিয়ে প্রতিবেশী হিমাদ্রি সরকারের জমি দখল ও জমির ঘেরা কেটে দিয়েছে তাহশিলদার আব্দুর রাজ্জাক। লিখিত অভিযোগ ছাড়া কমিশনার ভুপালির প্রভাবে সহকারি কমিশনার (ভূমি) কালিগঞ্জের রোকনুজ্জামান এর নির্দেশে তশিলদার আব্দুর রাজ্জাক এর বিরুদ্ধে ঘেরা কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিষয়টি দেখে একটি প্রবাদের কথা মনে পড়ে” যার বিয়ের তার খবর নাই পাড়াপড়শির ঘুম নাই”। ঘটনাটি ঘটেছে গত কয়েকদিন ধরে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামে। বিষয়টি নিয়ে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, কালী গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম, সহকারী কমিশনার( ভূমি) রোকনুজ্জামান সহ স্থানীয় চেয়ারম্যান এনামুল হোসেন ছোট মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) বিকাল ৪টার সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে উপজেলা ভূমি অফিসের খাওয়া ঘুম বাদ দিয়ে দোড় ঝাপে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি পড়াতে হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার সময় সরেজমিনে তেতুলিয়া গ্রামে গেলে ভুক্তভোগী জমির মালিক মৃত বলাই চন্দ্র সরকারের পুত্র হিমাদ্রি সরকার তেতুলিয়া মৌজার এস, এ সাবেক ১৭৪ এবং আর,এস ৪৫১ ও সি, এস ১০০ নং খতিয়ানের ৩৫৩, ৩৫৪ দাগের অর্পিত ২৪ শতক সহ ১৬৫৭ নং খতিয়ানের ৩৫৩ দাগে ৩৯ শতক মিলে মোট ৬৩ শতক জমিতে শতাধিক বছরের উপরে বংশানুক্রমে পারিবারিকভাবে বসবাস করে আসছে। এর মধ্যে ২৪ শতক জমি ৬৭৭২৩ / ২০২১ -২২ সালে নামজারিকেসে ১/১খতিয়ান হতে আর,এস ৩৫৩ দাগের ৫ শতক এবং ৩৫৪দাগ ১৯ শতক মোট ২২২৬ খতিয়ান এ মোট ২৪ শতক জমি রেকর্ড হয়। বাকি ৩৫৩ দাগ হতে ৩৯ শতক জমি ১৬৫৭ নং আর, এস খতিয়ানে রেকর্ড পাইয়া হিমাদ্রি সরকার আপস চিহ্নিত মতে ভোগ দখল করে আসছে।

বসবাসের সুবাদে মন্দিরে যাওয়ার জন্য লিখিতভাবে আগে থেকেই সার্বজনীনভাবে একটি পথ দেওয়া আছে। কিন্তু হিমাদ্রিকে শায়েস্তা করতে তেতুলিয়া গ্রামের বিষ্ণুপদ সরকারের পুত্র মহাদেব সরকারকে ব্যবহার করে তার জমির উপর দিয়ে মন্দিরের পথ দাবী করে বিরোধ সৃষ্টি করে। এটা নিয়ে হিমাদ্রি সরকার এবং মহাদেব সরকারের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরুদ্ধে কেন্দ্র করে তেতুলিয়া গ্রামের নিমাই সরকারের কন্যা ভুপালি সরকার বর্তমান খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের (সিএ) কমিশনার হিসেবে কর্মরত আছে। দুর্গাপূজার ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে এসে মন্দিরের যাওয়ার রাস্তার জন্য কালিগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রোকনুজ্জামান কে বাড়িতে ডেকে এনে রাস্তা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন এবং উক্ত নামজারীর বিরুদ্ধে মহাদেব সরকারকে দিয়ে 150 ধারায় আবেদন করান।

কোন অভিযোগ ছাড়া হিমাদ্রিকে অফিসে ডেকে নিয়ে নানান ভাবে ভয় ভীতি দেখিয়ে রাস্তার জায়গা এর জমি ছেড়ে দিতে বলে হিমাদ্রিকে। কথা না শুনলে মঙ্গলবার সকালে যেয়ে কালিগঞ্জ সদর ভূমি অফিসের তহাশিলদার আব্দুর রাজ্জাককে দিয়ে ঘেরা ভেঙে দিয়ে আসে। বিষয়টি নিয়ে সাবেক ইউপি সদস্য বাবলু, তেতুলিয়া গ্রামের ভোলা, নেপাল, আব্দুর রহিম সহ একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের জানায় হিমাদ্রি তার রেকর্ডিও জমি নিয়ে বাপ-দাদার আমল হতে বসবাস করে আসছে। এখানে কোন মন্দিরের পথ ছিল না মন্দিরের জন্য আলাদা পথ সার্বজনীনভাবে রাখা আছে। শুধুমাত্র আমাদের গ্রামের নিমাই সরকারের প্রতিপক্ষ হিমাদ্রি হওয়ায় তার মেয়ে সহকারি কমিশনার ভুপালি সরকারকে দিয়ে প্রভাব খাটাচ্ছে। সে খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে কমিশনার হিসেবে চাকরি করার সুবাদে বাড়িতে এসে প্রভাব খাটিয়ে জেলা এবং উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবহার এবং হারানি করে আসছে। তার নির্দেশে এসিল্যান্ড এই সমস্ত কর্মকাণ্ড চালিয়েছে বলে জানান। এ ব্যাপারে তহশীলদের আব্দুর রাজ্জাকের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি যেটা করেছি এসিল্যান্ড স্যারের নির্দেশে করেছি। কমিশনার হিমাদ্রির সরকারের বাবা নিমাই সরকারের নিকট জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান আমার মেয়ে বাড়িতে এসে কারোর কাছে যায়নি বরং এসিল্যান্ড তার ভালো বদলির তদবির এর জন্য আমার ম বাড়িতে এসেছিল। এ প্রসঙ্গে সহকারী কমিশনার( ভূমি) রোকনুজ্জামান এর নিকট তার অফিসে ঘটনার সত্যতা জানার জন্য গেলে তিনি জানান ১৫০ ধারা একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে ঘটনা স্থলে যাওয়া হয়েছিল। প্রকৃত ঘটনার বিষয় তিনি অস্বীকার করেন। কোন অভিযোগ ছাড়া কাউকে হয়রানি বা ঘেরা ভাঙ্গার বিষয়টির সম্বন্ধে কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ঘটনার আরো সত্যতা জানার জন্য খুলনা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের (সিএ) সহকারী কমিশনার ভূপালী সরকারের ব্যবহৃত ফোন নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

শেয়ার বাটন