Sunday, April 28সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

কারাগারে ডিভিশন চান হাজী সেলিম

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুর্নীতির মামলায় জামিনের আবেদন করেছেন ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য (এমপি) হাজী সেলিম।

একই সঙ্গে উন্নত চিকিৎসা ও কারাগারে ডিভিশনের আবেদনও করেছেন তিনি। হাজী সেলিমের হয়ে এসব আবেদন করেন তার আইনজীবী প্রাণ নাথ।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হাজী সেলিম রবিবার বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করবেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলও করবেন তিনি।

হাজী সেলিমের আরেক আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, দুপুর ২টার দিকে হাজি সেলিম আত্মসমর্পণের জন্য আদালতে যাবেন।

আদালতে আত্মসমর্পণ করার পর জামিন বাতিল হলে হাজী সেলিমকে কারাগারে যেতে হবে। সে বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিনি ডিভিশনের আবেদন করেছেন।

দুর্নীতির মামলায় সাজা নিয়ে ঈদের আগে অনেকটাই চুপিসারে দেশ ছেড়ে আলোচনার জন্ম দেয়া এ নেতা দেশেও ফিরেছেন গোপনে।

ঈদের ছুটি শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়েন। সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা না দিয়েই তিনি দাবি করেন, আইন অনুযায়ীই দেশের বাইরে গিয়ে ফিরে এসেছেন হাজী সেলিম।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে বিচারিক আদালত হাজী সেলিমকে ১৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। রায়ের বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন।

২০২০ সালের ৯ মার্চ বিচারপতি মো. মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের ভার্চুয়াল বেঞ্চ তার ১০ বছরের সাজা বহাল রাখে।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি এই রায় প্রকাশ হয়। এতে রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্যকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এ আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়। গত ৯ মার্চ পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করে হাইকোর্ট।

এই হিসাবে ৯ এপ্রিলের মধ্যে কেন হাজী সেলিম আত্মসমর্পণ করেননি, সেটির ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তার আইনজীবী।

তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের মার্চ মাসে মৌখিকভাবে হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করে। এরপর চলতি বছরের ৯ মার্চ অনলাইনে রায়টি প্রকাশ করা হয়। আর রায়টি অফিশিয়ালি বিচারিক আদালতে কমিউনিকেট করা হয় গত ২৫ এপ্রিল। সে হিসেবে তারপর থেকে এক মাস, অর্থাৎ ২৫ মে পর্যন্ত সময় হাতে রয়েছে।’

শেয়ার বাটন