Friday, April 26সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

সেবায়েতকে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় গ্রেফতার-৩

হাসানুজ্জামান সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি: গতকাল মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট ২০২২) সকাল ১১:৩০টায় ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে এ সংক্রান্তে বিস্তারিত তুলে ধরেন ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)।

রাজধানীর মিরপুর ১৪ নম্বর কেন্দ্রীয় মন্দিরে সেবায়েতকে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলার ঘটনায় জড়িত তিনজন আসামিকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- ডাঃ বিপ্লব বিজয়ী হালদার, সুমন সাহা ও বাদল সরকার উক্ত মন্দিরের যথাক্রমে সভাপতি, সাংগঠনিক সম্পাদক ও দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

গত রবিবার (২৯ আগস্ট ২০২২) গাজীপুর জেলার রাজেন্দ্রপুর এবং ঢাকার দক্ষিণখান এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।তিনি বলেন, সেবায়েত পরিক্ষিত দাস কাফরুল থানার কেন্দ্রীয় মন্দির ঢাকা মহানগর উত্তরের সেবায়েত হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। মন্দিরের ভিতরে একটি কক্ষে বসবাস করতেন তিনি। গত ১৬ আগস্ট অনুমান সকাল ৬:০০টায় মন্দিরের সেবায়েত পরিক্ষিত দাসের মরদেহ মন্দিরের দ্বিতীয় তলার রেলিং এর সাথে ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরো বলেন, পরে মন্দিরের অন্যান্য লোকজন এবং সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জানা যায় যে, গত ১৫ আগস্ট রাত্র অনুমান ১১:৫০টায় সেবায়েত পরিক্ষিত দাস একটি ব্যাগ নিয়ে মন্দির হতে বের হওয়ার সময় গ্রেফতারকৃত সুমন সাহা তাকে বাধা দেয়। এর কিছুক্ষণ পরেই গ্রেফতারকৃত ডাঃ বিপ্লব বিজয়ী হালদার ও বাদল সরকার মন্দিরে এসে ভিকটিমের সাথে কথাবার্তা বলে। একপর্যায়ে ভিকটিম পরিক্ষিত দাস তাদের হাত ও পায়ে ধরে ক্ষমা চাইতে থাকে। পরে ওই আসামীগন পরিক্ষিত দাসকে মন্দিরে রেখে চলে যায়। চলে যাওয়ার পর আসামীগণের প্ররোচনায় ভিকটিম গত ১৬ আগস্ট রাত্র অনুমান ০০:৩০ ঘটিকা হতে সকাল অনুমান ০৫:৩০ ঘটিকার মধ্যে যে কোন সময় আত্মহত্যা করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন,, গত ১৫ আগস্ট রাত্র অনুমান ১১:৫০ ঘটিকায় সেবায়েত পরিক্ষিত দাস একটি ব্যাগের মধ্যে মন্দিরের ফল, আটা ও চিনি নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রেফতারকৃত সুমন সাহা তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন। গ্রেফতারকৃত ডাঃ বিপ্লব বিজয়ী হালদার ও বাদল সরকার ঘটনাস্থলে আসলে সেবায়েত পরিক্ষিত দাস তাদের কাছে ক্ষমা চান এবং ভবিষ্যতে এ ধরণের কাজ আর করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, গ্রেফতারকৃতরা ভিকটিম সেবায়েত পরিক্ষিত দাসকে বাজে ভাষায় ভৎসনা করেন। যার প্রেক্ষিতে ভিকটিম সেবায়েত পরিক্ষিত দাস লোক লজ্জার ভয়ে আত্মহত্যা করেন। এই ঘটনা অন্য কোন কারনে ঘটে থাকলেও তদন্ত করে বের করা হবে।

এ ঘটনায় ভিকটিমের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কাফরুল থানায় একটি মামলা রুজু হয়।

ডিএমপি’র গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মানস কুমার পোদ্দার পিপিএম বার এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে মিরপুর জোনাল টিমের টিম লিডার অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনারের মোঃ সাইফুল ইসলাম, নেতৃত্বে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত আসামীদের গ্রেফতার করা।

শেয়ার বাটন