Wednesday, April 24সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

‘মাথাপিছু আয় বাড়লে মানুষ খাওয়ার জন্য হাহাকার করছে কেন’

নিজস্ব প্রতিবেদক: স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা, ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু, ঈদের পূর্বে শ্রমিক কর্মচারীদের বকেয়া বেতন বোনাস পরিশোধ, গণতন্ত্র ও ভোটাধিকার প্রয়োগ, টিসিবির গাড়ির সংখ্যা বাড়ানোসহ নানাবিধ দাবিতে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ১৫ থেকে ১৭ এপ্রিল এই তিন দিন দেশব্যাপী গণ অবস্থান কর্মসূচির আয়োজন করেছে।

শনিবার (১৬ এপ্রিল) সকাল সোয়া এগারোটায় রাজধানীর পল্টন মোড়ে, সিপিবি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে রাজধানীতে সিপিবির এই কর্মসূচি শুরু হয়।

সিপিবির সাবেক সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, গত এক মাস ধরে আমাদের আন্দোলন চলছে। আমরা সবার ভাত ও ভোটাধিকার চাই। সবকিছুর দাম বাড়তি। এসব পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করুন অথবা শ্রমিকসহ সাধারণ মানুষের বেতন বাড়ান।

তিনি বলেন, বর্তমানে সারা দেশের মানুষ ভয়াবহ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। মানুষের জীবনের সংকট ক্রমাগত বাড়ছে। সরকার বলে, মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমাদের প্রশ্ন, মাথাপিছু আয় বাড়লে মানুষ খাওয়ার জন্য হাহাকার করছে কেন? টিসিবির ট্রাকের পেছনে ছুটছে কেন সর্বস্তরের মানুষ?

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, কেবল রাজধানীতে নয়, টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার সর্বত্র আমাদের এই কর্মসূচি চলছে। আমরা সাধারণ মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকার চাই। টিসিবির গাড়ির সংখ্যা বাড়ানোর দাবি জানাই। স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা চালু করারও দাবি জানাই আমরা।

কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমরেড কাজী সাজ্জাদ বলেন, নির্বাচনি ইশতেহারে রেশনের ব্যবস্থার কথা থাকলেও সে ব্যবস্থা করা হয়নি। সামনের বাজেটে স্থায়ী রেশনিং ব্যবস্থা চালুর জোর দাবি জানাই।

ক্ষেতমজুর সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অ্যাড. আনোয়ার হোসেন মৃধা বলেন, সারা মাস কাজ করার পরও শ্রমিকদের পুরো এপ্রিলের বেতন না দিয়ে পনেরো দিনের বেতনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালিকরা। আমরা সিপিবির তরফ থেকে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। শ্রমিকদের পুরো মাসের বেতন, বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস প্রদানের দাবি জানাই।

এ ছাড়াও অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কমরেড রুহুল আমিন, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক এ এন রাশেদ প্রমুখ।

সোয়া বারোটায় গণ অবস্থান শেষে সিপিবির নেতৃবৃন্দ মিছিল নিয়ে পল্টন থেকে জিপিও জিরো পয়েন্ট হয়ে আবারও পল্টনে এসে তাদের কর্মসূচি শেষ করে।

শেয়ার বাটন