Wednesday, April 24সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

বাড়ল সেমাই-চিনির দাম

নিজস্ব প্রতিনিধি: সেমাই ছাড়া বাঙালি মুসলমানের ঈদুল ফিতর কল্পনাই করা যায় না। তাই প্রত্যেক বছর ঈদ মৌসুমে সেমাইয়ের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। চাহিদা বাড়ায় সুযোগ নেন ব্যবসায়ীরা। তাই বছরের অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় ঈদের সময় বেড়ে যায় সেমাইয়ের দাম। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বিভিন্ন নামিদামি ব্র্যান্ডের সেমাইয়ের পাশাপাশি বেড়েছে খোলা বাজারে বিক্রি হওয়া সেমাইয়ের দামও।

শুধু সেমাইয়ের দামই নয়, চিনির দামও কেজি প্রতি বেড়েছে ৫ টাকা। এছাড়াও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কিশমিশ ও কাজুবাদামসহ আনুষঙ্গিক পণ্যগুলোও।

মঙ্গলবার (২৬এপ্রিল) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিম্ন আয়ের মানুষের খাবার খোলা লম্বা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা থেকে ২০০ টাকা কেজিতে। যা গত বছর বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৮০ টাকায়। আর খোলা লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩০০ টাকা কেজিতে। এর মধ্যে গত বছর ২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়।

আর মুদি দোকানগুলোতে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ২০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ওজনের সেমাই বিক্রি করা হচ্ছে ৪০ টাকা থেকে ১০০ টাকায়। এর মধ্যে ব্র্যান্ডের বনফুল, প্রাণ, ওয়েল ফুডের ২০০ গ্রাম লম্বা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা প্যাকেট। যা গত বছরের বিক্রি হয়েছিল ৩৫ টাকায়। এই বছরের রমজান মাসে হঠাৎ প্যাকেট প্রতি ১০ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে সেমাইয়ের দাম। তার মানে কোনো ক্রেতা যদি এসব ব্র্যান্ডের ১ কেজি সেমাই কিনতে চান তাহলে ৫০ টাকা বেশি দিতে হচ্ছে।

আর কুলসন, কিশোয়ান, ড্যানিশ ও প্রিন্স ব্র্যান্ডের ২০০ গ্রাম লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। যা এক মাস আগেও বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়। রাবেয়া ব্র্যান্ডের ঘিয়ে ভাজা ৪০০ গ্রামের লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা, আর মিঠাইয়ের ২৫০ গ্রামের লাচ্ছা সেমাই বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

বাজারগুলোতে সেমাইয়ের পাশাপাশি চিনিও বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকা কেজি। যা দুই গত সপ্তাহ আগেও ছিল ৮০ টাকা। অর্থাৎ ঈদকে কেন্দ্র করে চিনির দাম বাড়ানো হয়েছে কেজি প্রতি ১০ টাকা। এছাড়াও মধ্যম মানের কিশমিশ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজিতে। আর কাজু বাদাম বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকা কেজিতে।

বিভিন্ন সুপার শপগুলোতে ১০০ গ্রামের কিশমিশ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। ২৫ গ্রামের পেস্তাবাদাম বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা। ৫০ গ্রামের কাজুবাদাম বিক্রি হচ্ছে ৭৮ টাকা। আর ১০০ গ্রামের মিক্সড ফ্রুট বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়।

রায়সাহেব বাজারের মদিনা স্টোরের মালিক মোহাম্মদ টিপু ঢাকা পোস্টকে বলেন, সেমাইয়ের দাম অল্প বেড়েছে খুব বেশি না। যাতায়াতসহ আনুষঙ্গিক খাতে খরচ বাড়ায় দাম বেড়েছে।

তিনি বলেন, পুরোদমে ঈদের বাজার শুরু হয়েছে। আমাদের প্রত্যাশা এবার লাভের মুখ দেখব।

রাজধানীর সেগুন বাগিচা কাঁচাবাজারের আল-আমিন জেনারেল স্টোরের মালিক আল-আমিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, লম্বা খোলা সেমাই বিক্রি করছি ১৪০ টাকা কেজিতে। গত বছর এই সেমাই বিক্রি করেছি ১২০ টাকা কেজিতে।

দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়েছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। লকডাউনের কারণে গত দুই ঈদে বিক্রি হয়নি, এবার গত দুই-তিন দিন ধরে বিক্রি শুরু হয়েছে। বিক্রি বাড়ছে, আশা করি আগামী সপ্তাহে বিক্রি আরও বেশি হবে।

কারওয়ান বাজারে আসা আনিছুজ্জামান অনিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, গরমসলা কিনেছি। এখন সেমাই কিনতে আসলাম। এখানেও দেখি দাম বেশি। করোনার কারণে গত দুই বছর মেহমান কম এসেছেন। এবার মেহমান আসবে, তাই বেশি করে সেমাই কিনছি।

শেয়ার বাটন