Wednesday, May 1সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

বগুড়ায় মনোনয়ন জমা দিলেন বিএনপির সাবেক এমপি

ওয়াফিক শিপলু, বগুড়া থেকে: বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৪ (নন্দীগ্রাম-কাহালু) আসনে বিএনপি থেকে চারবার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য ডা. জিয়াউল হক মোল্লা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। দলে সংস্কারপন্থী হিসেবে চিহ্নিত সাবেক এই সংসদ সদস্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার খবরে এলাকায় ফের আলোচনায় তিনি।
কাহালু উপজেলার নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটানিং অফিসার মোছা. মেরিনা আফরোজ এর নিকট মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

জানা গেছে, নন্দীগ্রাম উপজেলার ৫ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এবং কাহালু উপজেলার ৯ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত ৩৯ বগুড়া-৪ আসন। ১৯৭৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই আসনে মোট ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয়েছে। এরমধ্যে ১৯৮৮ সালের ৩ মার্চ ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন বাদ দিলে থাকে ১০টি। তারমধ্যে বিএনপি সাত বার, জাসদ দুইবার ও জাতীয় পার্টি একবার বগুড়া-৪ আসনে এমপি নির্বাচিত হয়েছে। যার কারণে বিএনপি-জামায়াতের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনটি। এ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫১১ জন। এরমধ্যে নন্দীগ্রাম উপজেলার ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৬৪ জন ও কাহালু উপজেলার ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৮৯ হাজার ৪৪৭ জন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে ডা. জিয়াউল হক মোল্লার বাবা আজিজুল হক মোল্লা বিএনপি থেকে নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে তিনি মারা গেলে উপ-নির্বাচনে জিয়াউল হক মোল্লা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তিনি বগুড়া-৪ আসনে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। ২০০৭ সালে তিনি সংস্কারপš’ী হিসেবে পরিচিত হলে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি পান। ২০১৮ সালে বিএনপি তাঁকে প্রথমে দলীয় মনোনয়ন দিলেও পরে তা প্রত্যাহার করে মোশাররফ হোসেনকে দেওয়া হয়। সেই নির্বাচনে মোশাররফ হোসেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেন।

জিয়াউল হক মোল্লা দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন এমন গুঞ্জন এলাকায় চলছিল বেশ কয়েক দিন ধরে। অবশেষে বুধবার বিএনপির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মোল্লা সহকারী রিটানিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরআগে গত সোমবার বগুড়া শহরের মালতিনগরে তাঁর বাসায় নন্দীগ্রাম-কাহালু উপজেলার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে তৃণমূল পর্যায়ের বিএনপির সাবেক বেশকিছু নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে জিয়াউল হক মোল্লা বলেন, ‘আমি একজন চিকিৎসক। বাবার মৃত্যুর পর বিএনপি আমাকে জোর করে রাজনীতিতে নিয়ে এসেছে। বিএনপি থেকে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছি। ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলাম।’ তিনি আরও বলেন, সংস্কারপন্থী হওয়ার অভিযোগে আমাকে বিএনপির কোনো কমিটিতেও রাখেনি। সংস্কারপ দের অনেকেই দলে ফিরেছেন, দলীয় মনোনয়নে সংসদ সদস্য হয়েছেন। অথচ আমাকে মূল্যায়ন করেনি বিএনপি।’ ‘নির্বাচনী এলাকায় আমার সুনাম আছে, কর্মী-সমর্থকও আছে। একারণে এবার নির্বাচনে যাচ্ছি ।’

উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, যাচাই-বাছাই ৪ ডিসেম্বর, প্রত্যাহার ১৭ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর ও ৭ জানুয়ারি ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

শেয়ার বাটন