Saturday, April 20সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

ফের চালু হলো ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন টু ইন্ডিয়া’ শীর্ষক কর্মসূচি

তরিকুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের বিভিন্ন অঙ্গনের মেধাবী ১০০ তরুণ-তরুণীর ভারত ভ্রমণ বিষয়ক কর্মসূচিটি ফের চালু করেছে ঢাকায় দেশটির হাইকমিশন। করোনা মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে এই কর্মসূচি বন্ধ থাকলেও এবছর থেকে সেই সুবর্ণ সুযোগ পাবেন বাংলাদেশের তরুণ-তরুণীরা।

রোববার (১৫ মে) সন্ধ্যায় ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে ‘বাংলাদেশ ইয়ুথ ডেলিগেশন টু ইন্ডিয়া’ শীর্ষক কর্মসূচিটি পুনরায় চালুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। স্বাগত বক্তব্য দেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।

হাইকমিশনার বলেন, এই ডেলিগেশন কর্মসূচি বাংলাদেশ-ভারতের সামাজিক-সাংস্কৃতিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। ডেলিগেশনের সদস্যরা একসময় সেটিকে বাণিজ্যিক-প্রাযুক্তিক রূপও দিতে পারবেন বলে আমরা আশাবাদী।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক রক্তের আকরে লেখা। এই সম্পর্ককে আরও ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যেতে মানুষে মানুষে সম্পর্কোন্নয়নের এ ধরনের প্রোগ্রাম গুরুত্বপূর্ণ। যারা এই ডেলিগেশনের সদস্য হয়ে ভারত যাওয়ার সুযোগ পাবেন তারা সৌভাগ্যবান উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দু’দেশের মানুষে মানুষে সম্পর্কের আরও উন্নয়নে এই ডেলিগেশন সদস্যরা অনুঘটকের ভূমিকা রাখবে। আমাদের সম্পর্কের মাত্রা অন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।

পরে মন্ত্রী ও হাইকমিশনার ভারতীয় হাইকমিশনের ওয়েবসাইটে ২০২২ সালের ডেলিগেশন কর্মসূচিতে আবেদনের কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর ডেলিগেশন কর্মসূচির সাবেক ব্যাচগুলোর কয়েকজন প্রতিনিধির অনুভূতি নিয়ে বানানো ভিডিওচিত্র প্রদর্শিত হয়। আয়োজনের শেষভাগে ছিল সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এই পরিবেশনায়ও অংশ নেন ডেলিগেশন কর্মসূচির সাবেক ব্যাচগুলোর সদস্যরা।

২০১২ সালে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রয়াত প্রণব মুখার্জির ইচ্ছায় এই ইয়ুথ ডেলিগেশন টু ইন্ডিয়া কার্যক্রমের শুরু হয়। এই ভ্রমণকারীদের মধ্যে থাকেন শিক্ষা, চিকিৎসা, সংস্কৃতি, সাহিত্য, ক্রীড়া, প্রকৌশল, সাংবাদিকতাসহ বিভিন্ন অঙ্গনের প্রতিনিধিত্বশীল ভূমিকায় থাকা তরুণ-তরুণীরা। তারা যেমন স্ব স্ব আচার-সংস্কৃতি বিনিময় করেন ভারতে, আবার ভারতবর্ষে যা দেখার সুযোগ পান, যা ধারণ করতে পারেন, তা এসে পৌঁছে দেন বাংলাদেশে। এই বিনিময়টা বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীকে নিয়ে যায় আরও অনন্য উচ্চতায়।

কর্মকর্তাদের মতে, সফরটা কেবল দুই দেশের মধ্যকার সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিনিময়ের নয়, এতে অংশগ্রহণকারী একজন ডেলিগেট তারই দেশের বিভিন্ন অঙ্গনের প্রতিনিধিত্বশীল ভূমিকার আরও ৯৯ জনের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন, তাদের মধ্যে যোগাযোগ এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়। তাদের এই বোঝাপড়া, মিথষ্ক্রিয়া সমাজ গঠনে দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে।

শেয়ার বাটন