Saturday, April 27সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

দ্বাদশ নির্বাচন:রাজনীতি যে পথে, বিএনপি নেতৃত্বে আসছে পরিবর্তন

রাজনৈতিকভাবে খালেদা জিয়ার মুক্তি, বৃহৎ রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে সরকারকে চাপ প্রয়োগের জন্য পর্দার আড়ালে প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে বিএনপি। তবে এবার দলে যে বিষয়টি সব চেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে তা হচ্ছে নেতৃৃত্বের পরিবর্তন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি বলেছিল, কারাগার থেকে খালেদা জিয়ার প্রেসক্রিপশনে একাদশ সংসদ নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে। তখন কূটনীতিক এবং দেশে সুশাসনের জানার আগ্রহ ছিল বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কাকে দলীয়প্রধান করবে? তবে এর সঠিক উত্তর কার্যত নেতৃত্বের অভাবে বিএনপি দিতে পারেনি।

এবার কূটনৈতিক প্রশ্ন-উত্তর ও গণমাধ্যমের সামনে উপস্থাপনের জন্য নেতৃত্বে পরিবর্তন নিয়ে আসা হচ্ছে। একজনের নেতৃত্বে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন পরিচালিত হবে, তিনি কে? এখনই তা স্পষ্ট করা হচ্ছে না। গুণগত পরিবর্তন আসছে বলেই দলটির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে।

বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রের দাবি, খালেদা জিয়ার মামলা, সাজা ও আইনগত বৈধতাসহ শারীরিক অসুস্থতায় নানা জটিলতার কারণে বিএনপি এবার রাজনৈতিক বিকল্প নেতৃত্ব আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে নিয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সামনে রাখা হবে। যদি আন্তর্জাতিক সবুজ সংকেত থাকে তাহলে নেতৃত্বের জন্য তারেক রহমান বহাল থাকবেন, এটিই বিশেষ বৈঠকের সিদ্ধান্ত। দিন শেষে যদি আইনগত বড় ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হয় তাহলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কিংবা জুবাইদা রহমানকে সামনে রাখা হতে পারে।

ধারণা করা হচ্ছে, তারেক রহমান নেতৃত্বে থাকলেও তেমন বড় কোনো সমস্যা হবে না। এ জন্য বয়স্ক যেসব রাজনৈতিক ব্যক্তি তারেক রহমান বিষয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন তাদের সাথে আগে থেকেই সমঝোতা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপির উচিত খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য রাজনৈতিক লড়াই করা। যুগপৎ নেতৃত্ব তৈরি করা। যারা অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ তাদেরই সামনে নিয়ে আসা। জোবাইদা রহমান অভিজ্ঞ ব্যক্তি। তাকে সামনে নিয়ে এলে বিএনপি অনেক বেশি লাভবান হবে। লন্ডন থেকে দলের নেতৃত্ব দিয়ে উপকার হবে না। বিএনপির উচিত দেশে থেকেই তাদের চূড়ান্ত নেতৃত্ব, দিকনির্দেশনা দেয়া। নেতাকে সামনে পেলে কর্মীরা উজ্জীবিত হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘খালেদা জিয়ার কিছু হলে তার দায় সরকারকে নিতে হবে। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। তাকে কেউ প্রধানমন্ত্রী বানিয়ে দেয়নি। এ দেশের লাখো-কোটি মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে কোটি কোটি ভোটের ব্যবধানে তিনি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। খালেদা জিয়ার জন্য আমাদের আন্দোলন চলছে। একইভাবে এই সরকার যাতে পুরোনো রূপে আর কোনো সরকার গঠন করতে না পারে সে জন্য বিএনপি রাজনৈতিক ভূমিকা গ্রহণ করবে। বিএনপি জনগণের নেতৃত্বের দল।’

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় বিএনপি ক্ষমতার বাইরে। তবুও এই দল থেকে একজন নেতাকর্মী হারিয়ে যায়নি। বিএনপি এখন আগের চেয়ে শক্তিশালী। আর এটি হয়েছে কার্যত নেতৃত্বের কারণে। ভবিষ্যতে বিএনপিতে আরো গুণগত নেতৃত্ব আসবে।’

শেয়ার বাটন