Friday, April 26সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

দেবহাটায় বিয়ে বাড়িতে মেল্লা খাওয়া হলো না কন্য বাড়ির লোকের

রফিকুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সব আয়োজন প্রায় সম্পন্ন। একটু পরেই কন্যা পক্ষের লোকজন আসবে বৌভাত খেতে। সেই অপেক্ষায় বিয়ে বাড়ির সব মানুষ। কিন্তু কন্যা পক্ষের আত্মীয় না এসে আসলো দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী ও সঙ্গে এলো পুলিশ। পন্ড হলো বিয়ে বাড়ির সব আয়োজন আর খাওয়া হলোনা ভালমন্দ খাবার। ঘটনাটি দেবহাটা উপজেলার বহেরা এলাকায়। শনিবার ২৬ নভেম্বর, ২২ ইং দুপুরের দিকে ঘটনা এটি। বাল্য বিয়ে বন্ধের পাশাপাশি উক্ত বিয়ে বাড়িতে খাচায় বন্দি একটি পাখিকে ইউএনও অবমুক্ত করে দেন। সূত্র মতে জানা গেছে, বহেরা গ্রামের সুরত আলীর ছেলে আল মামুন রুবেলের সাথে উপজেলার নওয়াপাড়া নিসিয়র মাদ্রাসার ৮ম শ্রেনীতে পড়–য়া এক অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্রীর বিবাহ ঠিক করা হয়। মেয়েটির বাড়ি ভোমরা এলাকার বৈচানা গ্রামে। মেয়ের বয়স কম হওয়ার কারনে বিবাহটি সম্পন্নের জন্য গোপনে আয়োজন করা হয়। আয়োজনও মোটামুটিভাবে সম্পন্ন হয় এবং কন্যা যাত্রীরা আসলেই বিবাহটি চুড়ান্ত হবে এমন একটা সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, দেবহাটা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন জাহান সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে হাজির হন বিয়ে বাড়িতে। ইউএনওর উপস্থিতিতে বাল্য বিবাহ পন্ড হয়। রক্ষা পায় একটি নাবালিকা মেয়ের ভবিষ্যৎ জীবন। পরে এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বয়স পরিপূর্ণ না হওয়ার আগে বিয়ে দেবেন না শর্তে অঙ্গিকারনামা প্রদান করেন অভিভাবকরা। এছাড়া সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় ছেলের পিতা সুরত আলীকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী। দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি নওয়াপাড়া সিনিয়র মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে বাল্য বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেখানে অভিযান পরিচালনা করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত হওয়ায় তার অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা গ্রহণ করা হয়। পাশাপাশি বিয়ের আয়োজনকারী ছেলের পিতাকে ৫০০০/হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় উক্ত বিয়ে বাড়িতে খাচায় বন্দি একটি শালিক পাখিকে ইউএনও অবমুক্ত করে দেন।

শেয়ার বাটন