Friday, May 3সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

ইছামতি নদীতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সম্পন্ন হলো বিজয়া দশমী

রফিকুল ইসলাম, দেবহাটা প্রতিনিধিঃ হিন্দু ধর্মের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গাপূজার বুধবার ছিল বিসর্জনের দিন। সেই উপলক্ষ্যে দেবহাটার ইছামতি নদীতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হলো বিজয়া দশমী। এবছর নদীতে নৌকা চললেও তবে সেটা ছিল স্ব স্ব সীমারেখার মধ্যে। বাংলাদেশ ও ভারতের কোন নৌকা নিজেদের সীমারেখা অতিক্রম করতে পারেনি। আর এজন্য ছিল বিজিবি ও বিএসএফের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী। তবে উভয় দেশের নিরাপত্তা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার কারণে বিজয়া দশমীতে কিছুটা ম্লান ভাব লক্ষ্য করা গেছে। কয়েকজন জানান, দেশ বিভাগের অনেক আগে থেকেই বিজয়া দশমীতে উভয় পারের মানুষেরা আয়োজন করে আসছিল মিলনমেলার। দেশ বিভাগের পরেও বাধা হয়ে দাড়ায়নি ইছামতি নদীর এই জলসীমা রেখা। বিভিন্ন সময়ে নানা প্রতিকূলতা সত্ত্বেও বন্ধ হয়নি মিলনমেলা। প্রতিবছর শুধুমাত্র উভয় পারের মানুষ নয়, বরং বাংলাদেশ ও ভারতের বিভিন্ন মানুষ এই এলাকায় হাজির হতো শুধুমাত্র ভেদাভেদ ভুলে দিনটিতে আনন্দ উপভোগ করার মানষে। উভয় দেশের মানুষ আত্মীয় স্বজনদের সাথে দেখা করে কিছুটা শান্তি নিয়ে ফিরে যেতো আপন আপন ঠিকানায়। কিন্তু এবারের মিলনমেলায় ছিল কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যার কারণে এক দেশের মানুষ অন্য দেশে যেতে পারেনী। ইছামতি নদীর মাঝ বরাবর ছিল বিজিবি ও বিএসএফের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নজরদারী। এবছর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনকে অতিরিক্ত পুলিশ সহ নানারকম ব্যবস্থা গ্রহন করতে হয়েছিল। ভারতের পাশে টাকী আর বাংলাদেশের পাশে দেবহাটার মাঝ বরাবর ইছামতি নদীর ৫ থেকে ৬ কিঃমিঃ এলাকায় সীমান্ত। সূত্র মতে, উপজেলার টাউনশ্রীপুর সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় দূর্গা পূজার বিজয়া দশমীর দিনে দুই দেশের মানুষের মিলনমেলা বসে। এ সময় অবাধে এক দেশের মানুষ অন্য দেশে যেতে পারে। আর এই সুযোগে কতিপয় সুযোগ সন্ধানী দুষ্কৃতকারী চোরাচালান, হুন্ডি ব্যবসা, জাল টাকার ব্যবসা, মানুষ পাচার সহ নানারকম অপরাধ কর্মকা- ঘটায়। এ ছাড়া গত ৫/৬ বছর আগে এক মর্মান্তিক নৌকা দূর্ঘটনায় ভারতের কলকাতার যাদবপুর ইন্ডিয়ান ইনষ্টিটিউিট অব ক্যামিক্যাল বায়োলজির জুনিয়র রিসার্স ফেলো সুজয় দাশ (২৮) মৃত্যুবরন করেন। এ ঘটনায় সেসময় ভারতের মিডিয়ায় মিলনমেলা সম্পর্কে অনেক নেতিবাচক কথা তুলে ধরা হয়। সেজন্য সব দিক বিশ্লেষন করে গত কয়েক বছর বাংলাদেশ ও ভারতের পক্ষ থেকে সকল ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অপরাধ নির্মূলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। এ সময় টাউনশ্রীপুরের টাকিতে প্রতিমা বিসর্জন দেখতে সাতক্ষীরা, দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী, উপজেলা চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান দেবহাটা থানার ওসি শেখ ওবায়দুল্লাহ, ওসি (তদন্ত) তুহিনুজ্জামান তুহিন বি ও পি কমন্ডার নূরুল ইসলাম সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদূল মতিন বকুল এসে,আই আসিফ মাহমুদ এসে,আই i সরিপুর ইসলাম দেবহাটা সদর মেম্বার কামাল হোসেন সহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার বাটন