Monday, April 29সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

আসন ফাঁকা রেখেই গাবতলী থেকে ছেড়ে যাচ্ছে বাস

নিজস্ব প্রতিনিধি: ঈদে ভিড় এড়াতে আগেভাগেই বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন ঢাকার মানুষ। তবে সাধারণ সময়ের তুলনায় দূরপাল্লার বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে বলে দাবি ঘরমুখী মানুষদের। তবে আসন ফাঁকা রেখেই গাবতলী থেকে ছেড়ে যাচ্ছে বাস।

রোববার গাবতলী বাস টার্মিনালে সরেজমিনে দেখা গেছে, শহরে বসবাস করা বিভিন্ন পেশাজীবী মানুষ পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছেন। সকাল সকাল গাবতলী বাস টার্মিনালে এসে টিকিট সংগ্রহ করে বাসের জন্য অপেক্ষা করছেন। ঈদের আগে মানুষের ভিড় এড়াতে আগেই ছুটি নিয়ে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন।

শিক্ষার্থী আরাফাত সকাল ৮টায় গাবতলীতে আসেন। গতকাল পরীক্ষা শেষ হওয়ায় আজ মাগুরা যাচ্ছেন পরিবারের স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে।

কথা হলে আরাফাত জানান, কলেজ ছুটি হয়ে যাওয়ায় আজ বাড়ি যাচ্ছি। সকাল ৮টায় রেডি হয়ে গাবতলীতে আসি। বাসের টিকিট পেতে সমস্যা না হলেও অন্যান্য সময়ের তুলনায় ১০০ টাকা ভাড়া বেশি দিয়ে টিকিট নিতে হয়েছে।

রাজধানীর একটি কলেজে পড়ালেখা করেন দুই বোন। ঢাকায় এক সঙ্গেই থাকেন। বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করতে যশোর যাচ্ছেন। বাড়তি ভাড়া দিয়ে কাউন্টার থেকে টিকিট কিনতে হয়েছে। তারা অভিযোগ করেন, অন্যান্য সময়ে ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকায় ননএসি বাসের ভাড়া নেওয়া হতো। এখন ঈদের জন্য বেড়ে ৬৫০ টাকা। বেলা ১১টায় বাস ছাড়ার কথা থাকলেও ১২টা বাজলো এখনো গাবতলী বাস টার্মিনালে বাস এসে পৌঁছায়নি বলে জানান তারা।

উত্তরাঞ্চল যাতায়াত করা পরিবহন কাউন্টার এসপি গোল্ডেন লাইনের কাউন্টারে টিকিট বিক্রেতা মেহেদী জানান, গত ১৮ এপ্রিল থেকে ঈদের বিশেষ টিকিট বিক্রি করছেন। অন্যান্য সময়ের চাইতে এবার যাত্রী তুলনামূলক কম।

তিনি বলেন, এ সময়ে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫-৬টি বাস ছাড়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিট খালি রেখে চারটি বাস ছাড়া হয়েছে। যাত্রী সংকট থাকায় সেখান থেকে বাস ছাড়তে হচ্ছে।

মিরপুরে বসবাসকারী বেসরকারি চাকরিজীবী ফিরোজ রংপুর যাচ্ছেন পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে। বাড়িতে কিছু কাজ থাকায় আগেভাগেই ছুটি দিয়ে বাড়ি মুখে রওনা হয়েছেন।

তিনি বলেন, ঈদের জন্য প্রতিটি টিকিটের ১০০ টাকা ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে। উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়া দিয়ে যেতে হচ্ছে।

সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার ম্যান আজাদ জানান, যাত্রী কম তাই সিট খালি রেখে বাস ছাড়তে হচ্ছে। যারা আসছে তারা আগামী ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ ও পহেলা মে এর জন্য টিকিট চাচ্ছেন। কয়েক দিনের টিকিট এরই মধ্যে অধিকাংশ কাউন্টারে বিক্রি হয়ে গেছে। তবে ২৪ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত যাত্রী কম বলে দাবি করেন।

পহেলা মে পরিবার নিয়ে যশোরে ঈদ করতে টিকিট কেটেছেন আব্দুল আজিজ। তিনি জানান, আগামী ৩০ এপ্রিল ছুটি হলে পরদিন যশোরে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি যাবেন। সুবিধামতো সিট পেলেও বাড়তি ভাড়া দিয়ে টিকিট নিতে হয়েছে।

পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মমিন বলেন, আগামী ২৭ এপ্রিল থেকে পহেলা মে পর্যন্ত আমাদের সব বাসের টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। আপাতত যাত্রী সংকট রয়েছে। বর্তমানে যারা আসছেন তারা এই সময়ের জন্য টিকিট চাইলেও আমাদের পক্ষে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে তারা স্বাভাবিক ভাড়ায় টিকিট বিক্রি করছেন বলে দাবি করেন।

শেয়ার বাটন