Tuesday, April 30সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

দেবহাটায় নিত্যপন্যের মূল্যবৃদ্ধি রোধে ইউএনওর অভিযান

দেবহাটা প্রতিনিধি: সিয়ম সাধনার মাস রমজানকে ঘিরে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপন্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে অধিক মুনাফা লাভ করছে। আর অন্যদিকে অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধিতে ক্রেতাদের হাত উঠেছে মাথায়। সংসার নির্বাহ নিয়ে মানুষের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাজ। গত দুই তিনদিন ধরে জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রনে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী উপজেলার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করছেন এবং জিনিসপত্রের দাম নির্ধারন করে দিচ্ছেন। নির্ধারিত দামের বেশী কেউ বিক্রয় করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে ইউএনও ব্যবসায়ীদের সতর্ক করছেন।
রমজান মাসকে ঘিরে কলা, পাটালী, গুড়, খেজুর, তরমুজ, শসা, খিরাই, ছোলা, মাছ, মাংস, দুধ ও ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ৫০ টাকার চাঁপাকলা ৮০টাকা, ৩০টাকার সাগরকলা ৬০টাকা, ২০টাকার তরমুজ ৩০টাকা, ১২০টাকার আখের গুড় ১৬০ টাকা, ১২০টাকার পাটালী ১৪০টাকা, ৭০টাকার ছোলা ৮৫টাকা, ৪০টাকার দুধ ৫০টাকা, ৩০টাকার শসা ৬০টাকা, ২৫টাকার খিরাই ৫০টাকা, ৬৫০ টাকার গরুর মাংস ৭০০টাকা, ৩০০টাকার কাটা পোল্ট্রি ৩২০টাকা, ৯০০টাকার খাসির মাংস ১০০০টাকা, খেজুর ৩০০ থেকে ২০০০টাকা, বেগুন ৬০টাকা, পটল ৬০টাকা, আলু ২২টাকা, পেয়াজ ৪০টাকা, রসুন ১০০টাকা, কাঁচাঝাল ৮০টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০টাকা দরে বিক্রয় করা হচ্ছে। মাছের বাজার দৈনিক উঠানামা করছে। চিংড়ি মাছ সাড়ে ৬শত থেকে ৭শত আর বাগদা শ্রেনী ভেদে ৮০০ থেকে বিভিন্ন দামে বিক্রয় হচ্ছে। বাজারের দোকানে বিক্রয় তালিকা নেই। এক শ্রেণির ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করছে। এবিষয়ে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম খালিদ হোসেন সিদ্দিকী উপজেলার কুলিয়া, পারুলিয়া ও সখিপুর বাজারসহ বিভিন্ন বাজারে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নির্দেশে বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাজ করছেন। তিনি নিত্যপন্যের দাম সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রয় করার জন্য নির্দেশনা জারির সাথে সাথে বিভিন্ন পন্যের দাম নির্ধারন করে দিয়ে আসছেন। তিনি বিভিন্ন বাজারে তদারকির মাধ্যমে যদি কেউ বেশি দামে মালামাল বিক্রয় করে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন।

শেয়ার বাটন