Friday, March 29সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

সম্রাটের জামিন বাতিল

নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্যাসিনো কাণ্ডের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের জামিন বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তাকে ৭ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১৮ মে) জামিন স্থগিত চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এর আগে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় জামিন পেয়েছিলেন সম্রাট। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান তিন শর্তে ৯ জুন পর্যন্ত সম্রাটের জামিন মঞ্জুর করেছিলেন। যা বাতিল করলেন হাইকোর্ট।

সম্রাটের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী ও অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সামাজী। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। তার সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুর্নীতি দমন কমিশন কমিশন (দুদক)-এর আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন সম্রাটের উন্নত চিকিৎসা দরকার বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নজরুল ইসলাম খান। গত সোমবার তিনি বলেন, যুবলীগ নেতা সম্রাটের চিকিৎসার বিষয়ে বোর্ড মিটিং হয়েছে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে তার উন্নত চিকিৎসা দরকার। তার চিকিৎসা দেশেও হতে পারে, বিদেশেও হতে পারে।

সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা চারটি হলো- অস্ত্র, মাদক, অর্থপাচার এবং দুদকের দায়ের করা মামলা। বর্তমানে সব মামলায় তিনি জামিনে রয়েছেন।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর যুবলীগের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেই সময়ের সভাপতি ইসমাইল হোসেন সম্রাটকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব।

পরে সম্রাটের বিরুদ্ধে মোট চারটি মামলা দায়ের করা হয়। সবগুলো মামলায় ইতোমধ্যে তিনি জামিন পেয়েছেন। সব মামলায় জামিন হওয়ায় তার কারামুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।

২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সম্রাটের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, সম্রাট বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ৮৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করেছেন। তিনি অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ দিয়ে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি ও উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক ফ্ল্যাট, প্লট কিনেছেন ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন। এছাড়া তার সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই ও যুক্তরাষ্ট্রে নামে-বেনামে এক হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম।

শেয়ার বাটন