Thursday, March 28সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

সন্যাসীরচক মাদ্রাসায় লম্পট শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতার ইউনিয়নের সন্যাসীরচক ছিদ্দিকিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রকে বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত শিক্ষক আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা গ্রামের হামিদ গাজী (খোকন গাজী)’র পুত্র ও গাজিরহাটের শিমুলিয়া (কাজিবাড়ি) গ্রামের আব্দুল হালিমের জামাতা হাফেজ লম্পট জাহিদুল ইসলাম।
জানা যায়, নলতার ইন্দ্রনগর গ্রামের জনৈক ব্যক্তির ১০ বছরের পুত্রকে পবিত্র কোরআনের হাফেজ বানানোর লক্ষে সন্যাসিরচক সিদ্দিকীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসায় গত বছরে ভর্তি করা হয়। তখন ওই ছাত্রের উপর মাদ্রাসার প্রধান দায়িত্বে থাকা শিক্ষক হাফেজ জাহিদুল ইসলামের কু-নজর পড়ে। তার পর থেকে ওই শিক্ষক ছাত্রকে বলৎকারের সুযোগ খুঁজতে থাকে। কয়েক মাস যেতেই ওই ছাত্রকে শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম আপন করে নিয়ে রাতে তার বেডের পাশেই ছাত্রের থাকার বেডের ব্যবস্থা করে। তার কিছুদিন যেতেই শিক্ষক জাহিদুল গভীর রাতে ওই ছাত্রের বেডে এসে জোর করে বলৎকার করে। পরে জাহিদুল ওই ছাত্রের মাথায় পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে কাউকে বিষয়টি না জানাতে শপথ করে নেয়। এবং বললে জীবননাশের হুমকি দেয়। কিছুদিন পর পর এভাবে প্রায় ১০/১২ বার ওই ছাত্রকে বলৎকার করে শিক্ষক জাহিদুল। গত শুক্রবার রাতে অমানুষিকভাবে বলৎকার করলে ওই ছাত্র অন্যের মোবাইল থেকে তার পরিবারকে জানালে পরিবার তাকে বাড়িতে নিয়ে এসে ঘটনা শুনে মাদ্রাসা কমিটিকে জানায়। এবং ছাত্রের সাথে জাহিদুল এমন করলো কেন জানতে কমিটির মাধ্যমে জাহিদুলের কাছে জানতে তারা বাড়িতে ডাকে। পরে কমিটি তাকে আনতে ব্যার্থ হলে স্থানীয় ব্যক্তিদের মাধ্যমে রাতে জাহিদুলকে ডেকে জিজ্ঞাসা করার পর ঘটনার লৌমহর্ষক বর্ণনা শুনে স্থানীয় জনতা তার উপর চড়াও হলে জাহিদুল উত্তম মাধ্যমের হাত থেকে রেহায় পেতে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ আরিফুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা জানাজানির পর থেকে জাহিদুল তার মোটর সাইকেল রেখে পালিয়ে গেছে। আমরা তাকে খুঁজে পাইনি। বিকেলে আমাদের কমিটির জরুরী মিটিংয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবং তাকে বাদ দিয়ে নতুন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছিলো বলে জানা যায়।

শেয়ার বাটন