

হাসানুজ্জামান সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি: ডিএমপি’র ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন রাস্তাঘাট খোড়াখুড়ি, প্রতিকূল আবহাওয়া এবং জলাবদ্ধতার কারণে সৃষ্ট যানজটকে সহনীয় মাত্রায় রাখতে কাজ করে যাচ্ছে টিম ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ।
বুধবার (২৯ মে) ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ আশরাফ ইমামের নেতৃত্বে এডিসি (ট্রাফিক ওয়ারী) সুলতানা ইশরাত জাহানের তত্ত্বাবধানে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে প্রচারণামূলক কর্মসূচি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়।
সড়কে শৃঙ্খলা আনতে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ ওয়ারী জোন, যাত্রাবাড়ী জোন এবং ডেমরা জোনের মোট ৪০টি জ্বালানী পাম্পে ‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ লেখা স্টিকার লাগিয়েছে। এরপর ফারুক সরণির মুখে লুকিং গ্লাস না থাকার জন্য চারটি গাড়ি আটক করা হয়। একইভাবে যাত্রাবাড়ী মোড়ে ফিটনেসবিহীন তিনটি লেগুনাকে আটক করা হয়। যাত্রাবাড়ী মোড়ের ফলপট্টি হিসেবে পরিচিত রাস্তার উপরের কাঠের চৌকি সম্মিলিত সমস্ত দোকান উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানের ধারাবাহিকতায় কুতুবখালী ইনকামিং ফ্লাইওভারের পকেট গেট স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়।
ফ্লাইওভারের এই অংশটুকুর দেয়াল ভাঙ্গা থাকার কারণে সব লোকাল বাসের যাত্রী ফ্লাইওভারে ওঠার আগে এবং ফ্লাইওভার থেকে নেমে সেখান থেকে পায়ে হাঁটা সড়কে প্রবেশ করেন। ফ্লাইওভারের উপরে গাড়িগুলো যখনতখন যাত্রী ওঠানামা করানোর ফলে যানজট (ব্যাক ট্রেইল) রায়েরবাগ পর্যন্ত পৌঁছে যায়।
দিনব্যাপী অভিযানে এসি (ট্রাফিক-ওয়ারী) কপিল দেব গাইন, এসি (ট্রাফিক- যাত্রাবাড়ী) তানজিল আহমেদ এবং এসি (ট্রাফিক-ডেমরা) মুস্তাইন বিল্লাহ ফেরদৌসের টিম সমগ্র ওয়ারী এলাকায় বিভিন্ন অভিযান চালিয়ে মামলা রেকার এবং যানবাহন আটকসহ মোট ২৮৩ টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এর মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকার জন্য আটটি যানবাহনের বিরুদ্ধে, ফিটনেস না থাকার জন্য ১১টি যানবাহনের বিরুদ্ধে এবং রাস্তার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য ৩০টি যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
ডিএমপি’র ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ ইমাম জানান, ইতোপূর্বে আমরা ট্রাফিক ওয়ারী ডিভিশনের সব লেগুনা গাড়ির ৮৮৪টি লুকিং গ্লাস লাগাতে বাধ্য করেছি। বাহাদুর শাহ গাড়িকে লুকিং গ্লাস লাগানোর জন্য তিনদিন সময় দেওয়া হয়েছিলো। ফিটনেস এবং লুকিং গ্লাস না থাকার কারণে চারটি বাহাদুরশাহ্ গাড়ি আটক করা হয়েছে। এখন বাহাদুর শাহ এবং সমস্ত লেগুনাকারীকে বৈধ লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালানোর জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। এভাবে আস্তে আস্তে প্রতিটি ফিটনেসবিহীন এবং চলাচলের অনুপযোগী গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ট্রাফিক ওয়ারী বিভাগ।