Tuesday, April 16সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

রিক্সা স্ট্যান্ডের জায়গা ভাঁড়া দিয়ে রাস্তায় ঈশ্বরদী রিক্সা সমিতি

পাবনা প্রতিনিধিঃ নিজেদের ব্যবহারের জন্য রেলওয়ে থেকে এককালীন লিজ নিয়ে নিজেদের শুশৃঙ্খলা আর শহরকে যানজট মুক্ত রাখতে যে গ্যারেজটি তৈরী করেছিল সেটি এখন ভাড়া দিয়ে রাস্তায় অবস্থান করছে ঈশ্বরদী রিক্সা সমিতি। এতে করে প্রতি নিয়ত যানজটে অতিষ্ট হচ্ছে জনজীবন আর রাস্থায় নির্ধারিত স্ট্যান্ডের অভাবে ঠোকর খেয়ে বেড়াচ্ছে রিক্সা চালকরা। রিক্সা চালকদের ই ভোগান্তি সমিতিতে রাজনীতি করনের কারণে আরও তীব্রতর হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীদের অনেকেই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রিক্সা স্ট্যান্ডের জন্য নির্ধারিত স্থানে প্রভাবশালীরা তৈরী করেছে মোটর সাইকেল গ্যারেজ, শরবত, ফলের দোকানসহ একাধিক জুতার দোকান। সংগত কারনেই নিজেদের জায়গায় ঠাই না পেয়ে রিক্সা নিয়ে চালকরা ভিড় জমাচ্ছে রাস্তার উপরে। ফলশ্রুতিতে বাজারের রাস্তা জুড়ে যানজট লেগেই থাকে। আর বাজারে সৃষ্ট এই যানজটের প্রভাব পড়ছে পুরো শহর জুড়ে। বাড়ছে নিত্য চলাচলকারীদের ভোগান্তি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রিক্সা চালক সমিতির এক সদস্য জানান, বাৎসরিক ৭০ হাজার টাকা চুক্তিতে স্ট্যান্ডটি লিজ দেন রিক্সা শ্রমিক নেতারা। সেই চুক্তির টাকা দিয়ে আহত এবং অসুস্থ চালকদের সেবায় ব্যয় করার কথা থাকলেও সেটা এখন শুধুই স্বপ্ন। কেননা প্রভাবশালীদের দখলে চলে যাওয়ায় গত প্রায়৭/৮বছর চুক্তির একটি টাকাও দেননি নামীয় ইজারাদার প্রভাবশালীরা। ফলে আমরা হারিয়েছি আমাদের স্ট্যান্ড পাশাপাশি অসুস্থ সহকর্মীরাও হারাচ্ছে তাদের ন্যূন্যতম অধিকার।
তিনি আরও বলেন, ঈশ্বরদী রিক্সাচালক সমিতির মোট সদস্য সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার হাজারেরও বেশী। এই বিপুল সংখ্যক রিক্সা থেকে প্রতি দিন পাঁচ (৫) টাকা করে মাসে প্রায় সাতলাখের ও বেশি টাকা সংগ্রহ হয়। যে টাকা সমিতির নিয়মানুসারে কমিটির কাছে সঞ্চিত থাকার কথা থাকলেও গত দেড়বছর ধরে নেই কোন কমিটি, নেই টাকার হিসাব।
মো.মমিন (ছদ্মনাম) নামের এক রিক্সাচালক বলেন, রাতে পারমিটের জন্য আমাদের চল্লিশটি গাড়িকে দেড়শ টাকা হারে দিতে হয়। কমিটি নেই কিন্তু সকল টাকা সংগ্রহের কোন কাজই বন্ধ নেই! চলছে হরিলুট।
রিক্সা সমিতির সাবেক এক সদস্য সচিব জানান, উপজেলা সমাজকল্যাণ অফিসারের যোগসাজোশে গত তিন বছরের উপার্জিত সকল অর্থ লুটপাট করে খাচ্ছে কিছু নামধারী নেতা। সেই নেতাদের সুবিধার্তেই তারা রিক্সা সমিতির দখলীয় স্ট্যান্ড উদ্ধারে নানা অনিহা প্রকাশ করে যাচ্ছেন দিনের পর দিন। ফলশ্রুতিতে নিজেদের জায়গা হারিয়ে ট্রাফিক পুলিশসহ সকলের লাঞ্ছনার স্বীকার হচ্ছেন আমাদের রিক্সা শ্রমিক ভাইয়েরা। আমারা বিভিন্ন সময় রিক্সা স্ট্যান্ডের এই জায়গা উদ্ধারের জন্য একাধিকবার একাধিক নেতার সরনাপন্ন হলেও অদৃশ্য কারনে আজও ঈশ্বরদী রিক্সা স্ট্যান্ড দখল মুক্ত করতে সক্ষম হয়নি কোন নেতা। আদো কখনো আমরা আমাদের এই হারানো স্ট্যান্ড ফেরত পাবো কিনা সেটাও অনিশ্চিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রিক্সা সমিতির হাজারো ভুক্তভোগীদের মত সাধারণ জনতার প্রাণের দাবি একটাই অনতিবিলম্বে অবৈধ দখলদারির হাত থেকে ঈশ্বরদী রিক্সাস্ট্যান্ডকে দখল মুক্ত করে ঈশ্বরদী শহরকে যানজটের হাত থেকে রক্ষা করবেন সংশ্লিষ্টরা এমনটাই প্রত্যাশা সুশীল নাগরিকদের।

শেয়ার বাটন