Thursday, April 25সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য প্রতিরক্ষা সহযোগিতার প্রশংসা হাইকমিশনারের

ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন বলেছেন, ব্রিটেন ও বাংলাদেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের প্রতিরক্ষা সহযোগিতার জন্য যুক্তরাজ্য গর্বিত ও ঢাকার সঙ্গে লন্ডনের সম্পর্ক আরও নিবিড় করতে প্রতিশ্রুবদ্ধ।

বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ব্রিটিশ হাইকমিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম নৌ-ঘাঁটিতে ফ্রিগেট এইচএমএস কেন্ট যুক্তরাজ্যের ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ মোতায়েনকে (সিএসজি ২১) বাংলাদেশ নৌবাহিনী স্বাগত জানিয়েছে।

তিনি বলেন, ব্রিটিশ রয়েল নেভিকে স্বাগত জানানোর জন্য আমি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এটি প্রতিরক্ষা সহযোগিতার দীর্ঘ ইতিহাসের ওপর ভিত্তি করে গড়ে তোলা হয়েছে যা নিয়ে যুক্তরাজ্য অত্যন্ত গর্বিত। আমাদের দুই দেশের মধ্যে স্থায়ী সম্পর্কের মূল অংশ হিসেবে আমরা আমাদের সহযোগিতাকে আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

ব্রিটিশ মিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের দৃঢ় সম্পর্ক ও ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সামুদ্রিক শান্তির প্রতি যুক্তরাজ্যের অঙ্গীকারের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ প্রদর্শন এই সফর।

এই সফর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন এবং যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সংযোগ এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্কের বহিঃপ্রকাশ।

এইচএমএস কেন্ট কমান্ডার ম্যাট সাইকসের কমান্ডিং অফিসার বলেন, ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ মোতায়েনে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তি যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের গভীর ও দীর্ঘদিনের সম্পর্কের একটি বহিঃপ্রকাশ।

এ বছর ব্রিট-বাংলা বন্ধনের চেতনায় যুক্তরাজ্য টেকসই শান্তি ও প্রবৃদ্ধির অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে আরও বেশি করে যুক্ত হওয়ার অঙ্গীকারের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য-বাংলা সম্পর্কের গভীরতা ও তাৎপর্য প্রদর্শন করছে।

হাইকমিশনার বলেন, এইচএমএস কেন্ট মোতায়েন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং একটি উন্মুক্ত ও স্থিতিস্থাপক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলার প্রতি যুক্তরাজ্যের অঙ্গীকারকে তুলে ধরেছে যেখানে উন্মুক্ত সমাজ এবং অর্থনীতির বিকাশ চলছে এবং বাণিজ্য ও বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে সমৃদ্ধির সুবিধা ভাগ করে নেওয়া হয়েছে।

এই সফরে এইচএমএস কেন্ট বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং চট্টগ্রামে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নেবে যাতে উভয় দেশের সামরিক, বাণিজ্য ও রাজনৈতিক জোটের সুবিধার্থে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধি পায়।

আইএসপিআরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কমান্ডার এমজে (ম্যাট) সাইকস আরএনের নেতৃত্বে ১৩৩ মিটার দীর্ঘ এই জাহাজটিতে ৩২ জন কর্মকর্তা, ১৮৭ জন নাবিক ও তিনজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন।

ব্রিটিশ জাহাজটি দেশের জলসীমায় পৌঁছালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর জাহাজ বিএনএস আবু বকর ঐতিহ্যগতভাবে অভ্যর্থনা জানায়। সফর শেষ হলে জাহাজটি ১৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম বন্দর ছাড়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

শেয়ার বাটন