Thursday, March 28সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে সমন্বিত উদ্যোগ দরকার: বিআরটিএ চেয়ারম্যান

নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে এবং সরকারি ও বেসকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার।

মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) বিআরটিএ সম্মেলন কক্ষে ‘নিরাপদ সড়ক জোরদারকরণে করণীয়’ শীর্ষক সভায় সভাপতির বক্তব্যে বিআরটিএ চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন কারণে দেশে প্রতিনিয়ত সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কারণ হচ্ছে আমরা যারা সড়ক ব্যবহার করছি তাদের অসচেতনতা ও অসাবধনতা; দ্রুত গতিতে গাড়ি চালানো; যত্রতত্র ওভারটেক করা; রাস্তা পারাপারের সময় ফুটওভারব্রিজ বা জেব্রা ক্রসিং ব্যবহার না করা; রাস্তা পারাপারের সময় ফোন ব্যবহার বা ফোনে কথা বলা ইত্যাদি।

নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ প্রণয়ন, দক্ষ ও প্রশিক্ষিত চালক তৈরিতে প্রশিক্ষণ প্রদান, জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ। তবে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ শুধু সরকার একার পক্ষে সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন সকলের সহযোগিতা।
সভায় ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন।

তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২০১৮ এর তথ্য অনুসারে প্রতি বছর বিশ্বে ১৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ মারা যায় এবং বাংলাদেশে বছরে প্রায় আনুমানিক ২৫ হাজার মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যায়। সড়ক দুর্ঘটনার কারণে প্রতি বছর দেশের ক্ষতি হচ্ছে জিডিপির ৫ শতাংশ।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বে সড়ক দুর্ঘটনায় মানুষের মৃত্যুর ৯০ শতাংশ নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে সংগঠিত হয়। নিরাপদ ও পথচারীবান্ধব সড়ক গড়ে তোলা সরকারের অগ্রাধিকার। এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এবং জাতিসংঘ ঘোষিত দ্বিতীয় ডিকেড অ্যাকশন ফর রোড সেফটির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ প্রণয়ন করে। আইনটি এ বছর আবারও সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাই ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশনের সুপারিশ আইনের বিশেষ কিছু দিক যেগুলো সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ সেগুলো সংশোধন করতে হবে।

ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন স্বাস্থ্য সেক্টরের সহযোগিতায় সভায় সড়ক দুর্ঘটনা সম্পর্কে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট, করণীয় এবং সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

শেয়ার বাটন