মোঃ জুলহাজুল কবীর, নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের বিশেষ অভিযানে প্রতারণার দায়ে হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীসহ প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
২৮ মে রবিবার থানা পুলিশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের এই অভিনব প্রতারনার তথ্য জানানো হয়েছে। নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দিনাজপুরের হাজি দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুজন সরকার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মোছাঃ জান্নাতুল নাহিমা (অচেনা পথিক) নামে একটি ভুয়া ফেসবুক আইডি খুলে উপজেলার পার হরিণা গ্রামের তামসের আলীর ছেলে ফরিদুল ইসলাম (২১) এর সাথে এসএমএস এবং মেয়ের কন্ঠে কথা বলে সুসম্পর্ক গড়ে তোলেন।
এক পর্যায়ে আটককৃত সুজন সরকার তার বন্ধুদের সহযোগিতায় কৃষি প্রজেক্টের কথা বলে বেশি লাভের লোভ দেখিয়ে ফরিদুল ইসলামের নিকট থেকে ১৮ লাখ টাকা বিভিন্ন কায়দায়(নগদ, বিকাশ একাউন্টের মাধ্যমে) হাতিয়ে নেয়। ফরিদুল ইসলাম যখন বুঝতে পারেন তার সাথে প্রতারণা করা হয়েছে, তখন তিনি নবাবগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষ কৌশলে অভিযান চালিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায সুজন সরকার সহ আরো ১ জনকে গত শনিবার (২৭ মে) রাত ৮ টায় হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বাঁশের হাট বাজার থেকে আটক করে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল।
আটককৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুজন সরকার (২৩) বীরগঞ্জ উপজেলার সাদুল্লা পাড়া এলাকার গোপাল সরকারের ছেলে এবং হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। আটককৃত অপর আসামী জগদীশ চন্দ্র রায়(৩০) মুজাহিদপুর,সদর দিনাজপুর এলাকার দয়াল চন্দ্র রায়ের ছেলে।
নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান , আটককৃত সুজন সরকারের নিকট থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত সিমসহ একটি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারক সুজন সরকার ভিকটিম ফরিদুল ইসলামের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে ১৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে।