Friday, April 19সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

নবাবগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত

মো.শাহীন‌উজ্জামান শাহীন, নিজস্ব প্রতিনিধি: মিথ্যা অপবাদের প্রতিবাদে ঢাকা নবাবগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মতিউর রহমান শামীমের প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় মিথ্যা ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে প্রেস ব্রিফিং করেছেন ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মতিউর রহমান শামীম।

নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স রুমে সকাল সাড়ে ১০ টায় নবাবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিখিত বক্তব্যে জানান,তার বিরুদ্ধে উপজেলার কৈলাইল ইউনিয়নের সম্রাট নামে এক ব্যক্তি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করে যে বক্তব্য দিয়েছেন-তা সম্পূর্ণ মিথ্যা,বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ইউএনও বলেন,সম্প্রতি উপজেলার কিছু সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করেছে উপজেলা প্রশাসন।

সেসব প্রভাবশালী মহলের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধন ও সহযোগিতায় সম্রাট এসব করছে কিনা তার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন,ছাত্রলীগের নাম ব্যবহার করে সম্রাট বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। চাঁদা না পেয়ে প্রশাসনের মাধ্যমে বেআইনিভাবে একজন ব্যবসায়ীকে শায়েস্তা করতে চেয়েছেন সম্রাট।

ওই আইন ও নীতি-নৈতিকতা পরিপন্থি কাজ না করায় অপ্রচারের আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। সম্রাট এলাকায় একজন চিহ্নিত মাদকসেবী,সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ। তাই যেকোনো সময় আমার কিংবা আমার পরিবারের ক্ষতি করতে পারেন তিনি। আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হয়ে মো.মতিউর রহমান সম্রাট-মিঠু গংয়ের মিথ্যাচারিতা,

প্রতারণা ও কূটকৌশলের কাছে নাস্তানাবুদ। এতেই বোঝা যাচ্ছে কৈলাইল ইউনিয়নের সহজ-সরল তেলেঙ্গাবাসী সম্রাট-মিঠু গংয়ের কাছে কতোটা অসহায় অনিরাপদ। ইউএনও বলেন,আমার কার্যালয়ে মাদকাসক্ত হয়ে
উপস্থিত হয় সম্রাট-মিঠু গং। তারা নিজের উপরে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। আত্ম রক্ষার্থে আনসার সদস্যদের গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেয়া হয়। মাদকাসক্তরা গ্রেপ্তার এড়াতে ধস্তাধস্তি শুরু করেন।

সম্রাটের দাবি-থানায় নিয়ে যাওয়ার আগে তাকে ফ্লোরে ফেলে মারধর করা হয়েছে। তার বুকের উপরে অসংখ্য
লাথি মারা হয়েছে। বুকে কামড় মারা হয়েছে তার ধব
ধবে সাদা পাঞ্জাবি দেখে কি সেটা প্রমাণিত হয়?
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতামত সাপেক্ষে তাকে প্রমাণ করতে হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও মতিউর বলেন,
যেহেতু তার কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। তাই
নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অবৈধ
প্রভাব খাটিয়ে চিকিৎসা সনদ নেয়া তার পক্ষে সম্ভব ছিল না। শেরে বাংলা নগরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হওয়ার সুবাদে প্রভাব খাটিয়ে সেখানকার হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা সনদ নিয়েছেন সম্রাট। তিনি বলেন,
দেশের বিভিন্ন উপজেলায় সরকারি স্বার্থ রক্ষা
করতে যেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসাররা আক্রমণ ও মারপিটের শিকার হচ্ছেন।

প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হলেও আমি এ দেশের একজন গর্বিত নাগরিক। আমার আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে। এরপরও আটকের পর নবাবগঞ্জে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শোল্লা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ভূঁইয়া কিসমত,নবাবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আরিফুর রহমান শিকদারের উপস্থিতিতে ও কৈইলাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বশির আহমেদের জিম্মায় সম্রাটকে ছেড়ে দেয়া হয়।

তবে ঘটনার ১৭ দিন পরে কার/কাদের ইন্ধনে কিছু জাল ডকুমেন্ট তৈরি করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করছে তারা তা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। প্রেস ব্রিফিংয়ে এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নবাবগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইব্রাহিম খলিল,সিনিয়র সহ-সভাপতি আজহারুল হক,সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম,সহ-সভাপতি সাহিদুল হক খান ডাবলু,মানব জমিনের সাংবাদিক খালিদ হোসেন সুমন,সাদের হোসেন বুলু,শাহীন‌উজ্জামান শাহীন সহ নবাবগঞ্জ উপজেলার সংবাদকর্মীরা।

শেয়ার বাটন