Tuesday, April 23সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের ডাকাতির আরও ২ কোটি ৫৪ লাখ টাকা উদ্ধার

হাসানুজ্জামান সুমন, বিশেষ প্রতিনিধি: আজ ১২ই মার্চ দুপুর ১২.৩০ ঘটিকায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে ডিবির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বিপিএম-বার, পিপিএম-বার জানান, ঢাকার উত্তরায় প্রকাশ্যে ডাচ-বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা গতকাল রাতে সুনামগঞ্জ, ঢাকা ও আশপাশ এলাকায় তাৎক্ষনিক
অভিযান চালিয়ে ০৮ জন ডাকাত গ্রেফতার ও ২. কোটি ৫৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার।
এর আগে উদ্ধার করা হয়েছিল ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। নতুন উদ্ধার করা মোট ২ কোটি ৫৩ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা সহ মোট উদ্ধার হয়েছে ৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা।
গ্রেফতারকৃরা হলেন; মো. সানোয়ার হাসান (২৮), মো. ইমন (৩৩), মো. আকাশ মাদবর (২৫), সাগর মাদবর (২২), মো. বদরুল আলম (৩৩), মো. মিজানুর রহমান (২০), মো. সাইন মিয়া (২৮) ও মো. এনামুল হক বাদশাকে (২৬)।
তিনি আরও জানান,গত ইং-০৯.০৩.২৩ তারিখ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার তুরাগ থানাধীন এলাকা হতে ডাচ্ বাংলা ব্যাংকের
বুথে পৌঁছে দেওয়ার জন্য মানি প্ল্যান্ট লিংক প্রাইভেট লিমিটেড তাদের ভাষ্যমতে ১১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর পরই তাৎক্ষনিক গোয়েন্দা বিভাগের তৎপরতায় ঐ দিনই ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার খিলক্ষেত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ৩ কোটি ৮৯ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ইং-১১.০৩.২৩ তারিখ বিভিন্ন সূত্র হতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগ ও গোয়েন্দা উত্তরা বিভাগের বিভিন্ন টিম ঢাকা মেট্রোপলিটন এলকায় ও সুনামগঞ্জে অভিযান পরিচালন করে। উক্ত অভিযানে ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার বনানী
হতে সানোয়ার হাসান কে গ্রেফতার করা হয় এবং তার হেফাজত হতে ১ কোটি ১৪ লক্ষ ৫১ হাজার টাকা এবং মিলন ও ইমন কে
নীলক্ষত এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার জোয়ার সাহারা বাসা থেকে ৩২ লক্ষ 8৭ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। তাছাড়া ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকার উত্তরা হতে আকাশ ও সাগরকে গ্রেফতার করত তাদের বাসা থেকে ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা।
গত ৯.৩.২৩ খ্রিঃ তারিখ ড্রাইভার পূর্ব কথামত সকাল ০৫:৩০ ঘটিকায় কুর্মিটোলা যাত্রী ছাউনীর সামনে আসলে আসামীরা তাকে পিছনে সিট ঠিক করার কথা বলে। পিছনে গেলে হাত পা ও চোখ বেধে ফেলে ৷ ডাচ্
বাংলা ব্যাংকের ১১ কোটি টাকা লুট করার উদ্দেশ্যে ডাকাতি সংক্রান্তে আসামীরা গাড়ীর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে মিরপুর ডিওএইচএস এলাকায় উৎপেতে বসে থাকে। পূর্ব তথ্য মতে নির্দিষ্ট নাম্বারের গাড়ীকে অনুসরণ করার জন্য অপেক্ষারত এক পর্যায়ে গাড়ী আসলে তারা পিছন পিছন অনুসরন করে। তারা গাড়ীকে একবার সামনে অতিক্রম করে আবার পিছনে চলে যায়। নির্জন জায়গায় যাওয়ার পর এক পর্যায়ে টক্কর লাগিয়ে তর্কবিতর্ক শুরু করে। গাড়ীর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা চলে যায়। পরবর্তীতে তাদের টাকাসহ
গাড়ি নিয়ে ৩০০ ফিট এলাকায় নিয়ে যায়। পথিমধ্যে ৫ জনকে তারা নামিয়ে দেয়। দুই ট্রাংক ভেঙ্গে বের করে তাদের সংগ্রহে
থাকা ২ টি চাউলের বস্তা ও ০৫ টি ব্যাগ ভর্তি করে৷ তখন ব্যাগ না থাকায় বাকী ট্রাংকে তারা টাকা দেখে ভয়ে বাকী টাকা ফেলে রেখে সবাই চলে যায়। পরবর্তীতে তারা গাড়ীর ড্রাইভারের সিটে বড় একটি টাকার ব্যাগ ফেলে রাখে এবং গাড়িতে কাপড় পরিবর্তন করে চলে যায় ৷ অবশিষ্ট ব্যাগটি ড্রাইভার নিজ হেফাজতে নেয়। এছাড়াও সে ট্রাংক থেকে অবশিষ্ট টাকা ভরে’সে তার ভাইয়ের হেফাজতে দেয়৷ পরবর্তীতে তাদের স্বীকারোক্তি মতে বাসা থেকে টাকা উদ্ধার করা হয়। আসামীদের ১০
দিনের রিমান্ডে আবেদন করা হয়েছে। রিমান্ডে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
ঘটনা পর্যালোচনায় দেখা যায়, তাদের ভাষ্যমতে ১১ কোটি টাকা পরিবহনের সময় নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা অর্থাৎ গার্ডের
জন্য অস্ত্রসহ কোন নিরাপত্তা কর্মী ছিল না ৷ অধিকাংশ সময় এইভাবে অধিক টাকা পরিবহন হয় যা পরিবহনকৃত টাকা নিরাপত্তা
বিধানে অপ্রতুল ৷ উল্লেখ্য যে, টাকা পরিবহনের সময় স্থানীয় থানাকে তারা অবহিত করেনি। ডিবির অভিযান চলমান রয়েছে।
ডাকাতির ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের গ্রেফতার ও বাকী টাকা উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত আছে।
এ ঘটনায় ডিএমপি’র তুরাগ থানায় ১টি ডাকাতির মামলা রুজু করা হয়েছে।

শেয়ার বাটন