Friday, March 29সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

ক্ষমতায় গেলে ডিজিটাল আইন বাতিল করবে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন,আমরা সরকার গঠন করলে মুক্ত গণমাধ্যমের অন্তরায় ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনসহ সকল ধরনের নিবর্তনমূলক আইন অধ্যাদেশ বাতিল করবো।

রোববার (২২) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের মিলনায়তনে গণতন্ত্র দমনে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ আইন’ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।

ফখরুল বলেন, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল নামে একটি সংস্থা রয়েছে। যার কার্যকারিতা এখন আর তেমন একটা লক্ষ্য করা যায় না। বিএনপি সরকার গঠন করলে প্রেস কাউন্সিলকে পুনর্গঠন করে এর ক্ষমতা ও পরিসর বৃদ্ধি করা হবে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত যেকোনো বিষয়ে সংযুক্ত ব্যক্তি বা সংস্থা প্রেস কাউন্সিলে ফয়সালা না করে কোনভাবেই যেন আদালতে মামলা দায়ের করতে না পারেন সেটি নিশ্চিত করা হবে।

তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যমকে স্বাবলম্বী করার জন্য বিএনপি বিজ্ঞাপনের সুষম বন্টনের ব্যবস্থা করবে। পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট সংখ্যক প্রকাশনা প্রচারণা কিংবা টিআরপির ভিত্তিতে গণমাধ্যমগুলোকে আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার চিন্তাও বিএনপির রয়েছে । দেশের ব্যবসা ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেন বিজ্ঞাপন প্রদানের ক্ষেত্রে দেশীয় গণমাধ্যমগুলো কে অগ্রাধিকার দেয়, সেটি নিশ্চিত করার পরিকল্পনাও বিএনপি’র রয়েছে ।

বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, আমরা দেখেছি বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের জন্য ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে বেশিরভাগ গণমাধ্যম ওয়েজবোর্ড মেনে চলে না। বিএনপি পরবর্তীতে সরকার গঠন করলে ওয়েজবোর্ড এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হবে। সুইডেনসহ উন্নত দেশগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে এই ধরনের আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের গণমাধ্যম এবং গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হবে। এক কথায় বিএনপি আমলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সম্মান নিশ্চিত করা হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে আটক করা হয় খালেদা জিয়াকে। এটি একটি রাজনৈতিক সাজা।আজকে মানবাধিকার লঙ্গন হচ্ছে। আমাদের ৬শ নেতা গুম হয়েছে , আজকে আমাদের সব রাজনৈতিক নেতাকে আদালতে যেতে হয়। পুরো রাষ্ট্র বিপদগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এটি থেকে রক্ষা পেতে হলে একটা ঐক্য দরকার। সাংবাদিকরাও সেই দায়িত্ব পালন করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। আমরা সরকারে যখন ছিলাম যখন বাহিরে ছিলাম তখনো গণতন্ত্রের জন্য কাজ করেছি,মানুষের জন্য কাজ করেছি। তাই অধিকার ফিরে পেতে হলে আমাদের দানবীয় সরকারকে সরাতে হবে।

মতবিনিয়কালে সাংবাদিক নেতারা বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্যই আজকে এতো গুলো গণমাধ্যম বাংলাদেশে। তিনি দৈনিক দেশ, দৈনিক বার্তা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন, পিআইবি, প্রেসক্লাব জিয়াউর রহমান প্রতিষ্ঠা করে গেছেন ,অনেক সাংবাদিককে যায়গা দিয়ে গেছেন। বিএনপি ক্ষমতায় আসলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় নজর রাখার আহবান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ,গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান ও সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজী, এম আব্দুল্লাহ, কবি আবদুল হাই শিকদার, প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসানসহ ভিবিন্ন গণমাধ্যমে শীর্ষ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার বাটন