Friday, April 19সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

কুলিয়া দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষকের বিরুদ্ধে বলৎকারের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাতক্ষীরার দেবাহাটা উপজেলার দক্ষিন কুলিয়া এলাহি বক্স দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক আলহাজ¦ সামছুল আলম (৫০) এর বিরুদ্ধে ৫ম বারের মতো বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে ১২ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় মাদ্রাসা মাঠে ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, শিক্ষক ও অবিভাবকদের নিয়ে এক শালিসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। শালিশি বৈঠকে দোষী প্রমানিত হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটি উক্ত শিক্ষককে বহিষ্কারের সিন্ধান্ত নেয়। শালিসি বৈঠকে মাদ্রাসা সুপার মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, এমন দুঃচরিত্রের শিক্ষক মাদ্রাসায় থাকায় ছাত্র ছাত্রী ভর্তি হতে চাচ্ছে না। এমন অবস্থায় চলতে থাকলে ভবিৎতে ছাত্র ছাত্রী শূন্য হয়ে পড়বে। বলৎকার করাটা তাহার অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। পূর্বেও অনেক ছাত্রদের বলৎকার করেছে লোক লজ্জার ভয়ে তারা প্রকাশ্য অভিযোগ করছে না । সেহেতু আমরা উক্ত শিক্ষককে রাখবো না। ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে আমরা আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবো। মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি কুলিয়ার সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান আলহাজ¦ আসাদুল ইসলাম বলেন, পূর্বেও তার এমন বলৎকারের কার্যকলাপ প্রমানিত হয়েছে। এমন শিক্ষক মাদ্রাসায় রাখা ঠিক হবে না। আমরা রেজুলেশনের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. সম গোলাম মোস্তফা বলেন, এমন দুঃচরিত্রের শিক্ষক রাখলে প্রতিষ্ঠানের বদনাম হচ্ছে, অবিভাবকরা তাদের ছেলে মেয়েদের এখানে ভর্তি করাতে চাচ্ছে না। সেহেতু তাকে সেচ্ছায় পদত্যাগ করা উচিৎ। এব্যাপারে বলৎকার শিক্ষক সামছুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, বার বার আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সে কারনে আমি আগামী সোমবার সেচ্ছায় সহকারী শিক্ষক পদ থেকে পদত্যাগ পত্র জমা দিতে চেয়েছি। সর্ব শেষ বলৎকারী দক্ষিন কুলিয়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের প্রতিবন্ধী পুত্র ৫ম শ্রেনির ছাত্র ইমরান হোসেন (১২) জানান, সামছুল আলম স্যার আমাকে ৬মাস যাবৎ বিভিন্ন প্রলোভন ও ভয় দেখিয়ে আমাকে বলৎকার করে। গত সোমবার বিকালে মাদ্রাসার ২তলায় নিয়ে আমাকে জোর করে বলৎকার করেছে। আমার চিৎকারে প্রতিবেশি গফফার চাচা আমাকে উদ্ধার করে। অবিভাবকরা ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তি বর্গ জানান, এমন শিক্ষক মাদ্রাসায় থাকলে আমরা আমাদের সন্তানদের এই মাদ্রাসায় রাখবো না। এমন দুঃচরিত্রের শিক্ষককে মাদ্রাসা থেকে বিতাড়িত করতে হবে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।

শেয়ার বাটন