

হাফিজুর রহমান, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: অস্তিত্বহীন, ছাত্র বিহীন প্রতিষ্ঠান মাদ্রাসায় ৪ জন শিক্ষক দিয়ে বছরের পর বছর চলে আসার অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের বসন্তপুর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে । গত বৃহস্পতিবার( ৩০মে) বেলা ১০টার সময় স্বরজমিনে গেলে দেশ বরেণ্য প্রখ্যাত শিল্পী আব্দুল আলীমের দ্বিগ্বিজয়ী গান মনে পড়ে যায় “‘ পরের জায়গা পরের জমি ঘর বাঁধিয়া আমি লই’ আমি সে তো ঘরের মালিক নই “”বসন্তপুর ঢালিপাড়া জামে মসজিদের মক্তবের একটি ঘরে সাইনবোর্ড রেখে নিজেদের প্রতিষ্ঠানের নাম ভাঙিয়ে ছাত্র 1ছাড়া পাঠ দান না করেই ৪ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে বেতন ভাতা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ এক যুগ ধরে দেখা গেছে শিক্ষক, ছাত্র নাই ওই কথিত প্রতিষ্ঠানে। স্থানীয়রা জানেই না এই এলাকায় বসন্তপুর স্বতন্ত্র ইফতেদায়ী নামে একটি মাদ্রাসা আছে। স্থানীয়দের অভিযোগ জেলা, উপজেলা সংশ্লিষ্টদের যোগসাযোগে প্রতিষ্ঠান, ছাত্রবিহীন মাদ্রাসা না থাকলেও বছরের পর বছর শিক্ষকরা বেতন ভাতা উত্তোলন করে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের সকল সরকারি সুবিধা ভোগ করে আসছে। সরে জমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় বসন্তপুর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা নামে কোন প্রতিষ্ঠান না থাকলেও বসন্তপুর ঢালিপাড়া জামে মসজিদের মক্তব খানায় একটি ঘরে বসন্তপুর স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী সাইনবোর্ডের খোঁজ মিললেও মেলেনি ঐ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্রের। ওই সময় স্থানীয়রা জানান বসন্তপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র নাজমুল আহমেদ এই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, হারুনুর রশিদের পুত্র আব্দুর রহমান সহকারী শিক্ষক, মৃত আফতাব উদ্দিন এর পুত্র নজরুল ইসলাম এবং ধলবাড়িয়ার হাফেজ সিরাজুল ইসলাম সহ ৪ জনের নাম থাকলেও তাদেরকে কখনো পাঠদান বা ছাত্রদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরমধ্যে হাফেজ সিরাজুল ইসলাম বসন্তপুর বটতলা জামে মসজিদে ইমামতি করে। ওই সময় মুঠোফোনে আব্দুর রহমান নামে এক সহকারী শিক্ষককে ডেকে কথা বললে তিনি প্রতিষ্ঠান এবং ছাত্র কোথায় এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর মেলেনি বরং উল্টো সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য বিভিন্ন মারফত তদবির করতে থাকে। বিষয়টি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেলে তাদের বেতন ভাতা বন্ধ হবে বলে জানান। এমনিতে নামমাত্র ২৫’শ টাকা বেতন দিলেও সরকারী করণের আন্দোলনে তারা মাঠে আছে বলে জানান। এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আশীষ কুমার নন্দীর নিকট জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা মাত্র পরীক্ষার বিষয়টি দেখাশুনা করি। বাকি বিষয়টি উচ্চ মাধ্যমিক অফিসার ভালো বলতে পারবে। পরে এগুলা সম্বন্ধে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বাকি বিল্লাহের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রতিষ্ঠান এবং ছাত্র-ছাত্রী বিহীন কিভাবে একটি মাদ্রাসা চলে সে বিষয়টি তার বোধগম্য নাই। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে সাংবাদিকদের জানান। তবে তিনি আরো জানান ইফতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে তাদেরকে প্রতিষ্ঠান প্রধানের ২৫ শ’এবং বাকি শিক্ষকদের ২৩ শ, টাকা করে মাসে ভাতা দেওয়া হয়ে থাকে।