Friday, April 19সময়ের নির্ভীক কন্ঠ
Shadow

আশাশুনির বিদায়ী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কোটি টাকা বাণিজ্যের অভিযোগ

আশাশুনি প্রতিনিধি: আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়নের আফতাব উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজের বিদায়ী অধ্যক্ষ শিহাবুউদ্দীনের বিরুদ্ধে কোটি টাকা নিয়োগ বাণিজ্য সহ বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্মশাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিগত ১৬/০৪/২০১৫ সালে অত্র প্রতিষ্ঠানে এ অধ্যক্ষ যোগদান করেন। দীর্ঘ সাত বছর তার মেয়াদকালে হামলা, মামলা অনিয়ম-দূর্নীতি প্রতিষ্ঠানটির নিত্যদিনের সঙ্গী বানিয়েছিল। তিনি লোভ বা লাভের বর্শ্ববর্তী হয়ে গত ইং ২৬/১২/২০২২ তারিখে বড়দল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়ে সাতক্ষীরা সিটি কলেজে যোগদান করেন। কিন্তু পূর্বের অনিয়ম, দূর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য ও প্রতিষ্ঠানের সরকার প্রদত্ত টিউশন ফিস বাবদ ১০ লক্ষ, একাদশ শ্রেণীর ভর্তির বোর্ড ফেরত অনলাইনের টাকা ২ লক্ষ ৫০, কলেজ সংস্কার বাবদ জেলা পরিষদের ২ লক্ষ, নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ বাবদ ২০ লক্ষ এবং ৫ পদে নিয়োগ বাবদ অর্ধ কোটি টাকা নিয়েছেন এ বিদায়ী অধ্যক্ষ। উক্ত টাকা জায়েজ করার জন্য তিনি বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে দিনরাত ধর্না দিচ্ছেন বলে অভিযোগে জানা গেছে। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমানকে বিদায়ী অধ্যক্ষ তার স্বার্থ হাসিল করার জন্য নিয়ম বহির্ভূত নিয়োগ বোর্ড গঠনের লক্ষ্যে চাপ অব্যাহত রেখেছে। এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনাতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটির দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও নিয়োগ সংক্রান্ত কোন বিষয় প্রতিকার পাইনি বলে জানিয়েছেন অভিযোগকারী মোঃ শফিকুল ইসলাম। বিদায়ী অধ্যক্ষ যে সকল ব্যক্তির নিকট থেকে চাকরি দেওয়ার নামে অর্থ গ্রহণ করেছেন তারা হলেন ল্যাব সহকারি বাইনতলা গ্রামের নিত্যরঞ্জন মন্ডলের ছেলে মিহির কান্তি, বুড়িয়া গ্রামের খগেন্দ্রনাথ মাস্টারের ছেলে উদয় মন্ডল, বড়দল গ্রামের ঢালীবাড়ির শুকুর আলীর ছেলে আব্দুর রহিমসহ ১০-১২ জনের নিকট থেকে নিয়োগের নামে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। বিদায়ী অধ্যক্ষের পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য তিনি দরগাহাপুর কলেজিয়েট স্কুলের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গৌরুপদ মন্ডলকে নিয়োগ দেবেন বলে ২০ লক্ষ টাকা নেওয়ার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বাবলুর রহমানের কাছে অত্র প্রতিষ্ঠানের রেজুলেশন খাতা, ব্যাংক একাউন্টের চেক বই, রিজার্ভ ফান্ডের টাকা সবকিছু বিদায়ী অধ্যক্ষের কাছে গচ্চিত রয়েছে।নামমাত্র ম্যানেজিং কমিটি তাকে বসিয়ে রেখেছে। লুটপাটকারীদের কথা না শুনলে যেকোনো মুহূর্তে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদটি শূন্য হয়ে যেতে পারে এমনটাই তাদের অভিযোগ। এ ব্যাপারে বিদায়ী অধ্যক্ষ শিহাবুদ্দীন বলেন, তিনি সভাপতি ও কমিটির সকল সদস্যদের সম্মতিতে ২৬ ডিসেম্বর কলেজের সবকিছু ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি। নিয়োগের ব্যাপারে তার কোন কিছু করার অভিযোগটি অবান্তর। কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি বলেন বিধি মোতাবেক সকল কাগজপত্র ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছি। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় অদ‍্য তারিখে ম্যানেজিং কমিটির সকল ব্যক্তিদের নিয়ে আলোচনা করা হবে। বিদায়ী অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নিয়োগসহ স্কুলের সার্বিক বিষয় কোটি টাকা লোপাট হয়েছে মর্মে জানতে চাইলে তিনি কোন সদ উত্তর দিতে পারিনি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে কথা হলে তিনি বলেন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির নির্দেশক্রমে ফেয়ার একটি নিয়োগ বোর্ড গঠন করা হবে। মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ ব্যক্তিদের চাকরি হবে এমনটাই আমি আশা করি।

শেয়ার বাটন