

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনা ইস্টার্ন এয়ারলাইনস দ্বারা পরিচালিত বোয়িং ৭৩৭ বিমান ১৩৩ জন আরোহী নিয়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে।সোমবার দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গুয়াংজি অঞ্চলের উঝো শহরের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। উদ্ধারকারী দল দুর্ঘটনাস্থলের কাছাকাছি রয়েছে, তবে হতাহতের সংখ্যা এখনো স্পষ্ট নয় বলে জানিয়েছে এবিসি।
সোমবার (২১ মার্চ ) এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভির খবরে বলা হয়, বোয়িং ৭৩৭ মডেলের প্লেনটি জুয়াংঝি অঞ্চলের উঝৌ শহরের কাছে একটি গ্রামীণ এলাকায় বিধ্বস্ত হয়েছে। এ কারণে সেখানকার পাহাড়েও আগুন ধরে গেছে।
বিমানবন্দর কর্মীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, চায়না ইস্টার্ন ফ্লাইট MU5735 সোমবার দুপুর ০১:০০টা (0500 GMT) পরে কুনমিং শহর থেকে উড্ডয়নের পরে গুয়াংজুতে তার নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছায়নি।
প্রাথমিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, চায়না ইস্টার্ন চীনের তিনটি প্রধান বিমানের মধ্যে বোয়িং ৭৩৭ ছিলো একটি। বিমানটি দক্ষিণ-পশ্চিম চীনের কুনমিং শহর থেকে দেশটির সুদূর দক্ষিণের শহর গুয়াংজুতে যাওয়ার সময় গুয়াংজির টেং কাউন্টিতে বিধ্বস্ত হয়। সামািজক মাধ্যমের বেশ কিছু ভিডিও থেকে জানা যায়, একটি ঘন জঙ্গলের পাহাড়ে মধ্যে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। তবে ভিডিও ফুটেজ দেখে অবস্থান শানাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ধারণা করা হচ্ছে ১৯৯০ সালের পর এমন দুর্ঘটনা দেখেনি বিশ্ব। গত দুই দশকে চীন তুলনামূলকভাবে নিরাপদ উড়ার রেকর্ড স্থাপন করলেও এই দুর্ঘটনা একটি বিপর্যয় নিয়ে আসবে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, এভিয়েশন সেফটি নেটওয়ার্কের মতে, চীনের সর্বশেষ মারাত্মক জেট দুর্ঘটনাটি ছিল ২০১০ সালে, যখন হেনান এয়ারলাইন্স দ্বারা উড্ডয়িত একটি এমব্রার ই-১৯০ আঞ্চলিক জেট কম দৃশ্যমানতায় ইচুন বিমানবন্দরের কাছে বিধ্বস্ত হলে বোর্ডে থাকা ৯৬ জনের মধ্যে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
সূত্র: এএফপি, আল-জাজিরা